কবিতা এখন

সুধীর দাস

ঝিমিয়ে পড়া ভাত কাপড়ের লড়াইকে ওরা ধর্মের দোহাই দিয়ে মাছি চাটে
বুকের পাটাতন ইসপাত কঠিন হয়
তপ্ত হয়ে আগুন জ্বলে
অঙ্গীকারের মাস্তুলে লাগে দোল।

ভুখা মিছিল আসে খাদ্যের সন্ধানে
কিছু পা-চাটা কুকুর গুলি চালায়
রক্তাক্ত হয়ে ওঠে রাজপথ
মুখ থুবরে পড়ে থাকে মুক্তি, স্বাধীনতা!

জেলখানায় একজন কবি স্বপ্ন বোনে
খনি থেকে, কারখানা থেকে শ্রমিকের ঘামের লবণাক্ত স্বাদ গ্রহণ করে জিহ্বায়
রক্তাক্ত কোটরগত চোখ নির্লিপ্ত উদাসীন

মুক্তির দাবিতে অনড়।

জঠরে তেজোদীপ্ত আগুন ক্ষুধা
ঘুমহীন রাত
শীতার্ত
কম্বলহীন চাদরহীন সয্যা।

ভোরের পাঁচিলে রক্তিম সূর্য উঠে
জলপাই রঙ কলাপাতা ট্যাংক আসে
বুকের ভেতর গর্জে ওঠে বন্দুকের নল
পাঁজর খুড়ে জিঘাংসা বাজে!

তারপর লাল পতাকার মিছিল আসে
কাস্তে কোদাল হাতুড়ি জেগে ওঠে ঊর্ধ্ব আকাশে

আর কত অরাজগতা, আর কত একনায়কতন্ত্র স্বৈরাচার
তেজোদীপ্ত হয়ে ওঠে স্টালিন হৃদয়

চে গুয়েভারা,ফিদেল কাস্ত্রো, বেঞ্জামিন মোলয়েস।

কলকাতা
রাত-০৯,০৫
২৬,০৫,২২

রাতের তারার মত জ্বলে বুকে

সুধীর দাস

রাতের তাঁরার মত যেন জ্বলে বুকে
তার মুখছবি চোখে শুধু বারবার
সময় ফুরিয়ে গেছে প্রয়োজন তার
অস্থির সময় জলমগ্ন কাটে দুখে।

নিজশ্বাস নাসারন্ধ্র বন্ধ তার দ্বার
সুখ গেছে অস্তাচলে ব্যর্থতা রোদন
বেঁচে থাকা অর্থহীন নিস্বতা বোধন
অশ্রুজলে ভিজে যায় রুগ্ন কন্ঠহার।

নিমগ্ন নগরে নুব্জ নক্ষত্ররা কাঁদে
তুমিহীন ভূমিহীন উদ্বাস্তু বাসর
শ্রাবনের জলমগ্ন প্রেমের আসর
অন্তিম আগুন স্তব্ধ আত্মরতি বাঁধে।

তোমার সুখেতে আমি পতাকা নাড়াবো
দুঃখ এলে আলো হয়ে সামনে দাঁড়াবো।

কলকাতা
২৬,০৫,২২