আমি নোবেল পাব

খোঁচার দাস

২০২১ সাল থেকে লিখেই আজ তিনি বড় কবি। মহাকবি। প্রায় একশো খানা পদকের পুতুল, গামছা, গলার তাবিজ, বঙ্গশ্রী,কাব্যশ্রী,সেরা কবির উপাধি।
ভাবছি ৩৬ বছর লেখালেখি জীবনে কী করলাম! কী পেলাম?
না পেলাম কোন তাবিজ, না কোন গামছা, না সেরা কবির উপাধি, কাব্যশ্রী, কাব্য রত্ন, কাব্যজ্যোতি, এপার ওপার বাংলার সেরা কবি, আরো কত ইত্যাদি ইত্যাদি পধক* ! আর সেরা কবিদের সেরা পদকের পুতুল, কাব্য লক্ষ্মীপদক,সেটা তো জীবনে বড় ভাগ্যের ব্যাপার।

বড় আফসোস! যদি এরকম কিছু পদকের গামছা পেতাম , যদি কিছু তাবিজ পেতাম,তাহলে হয়তো সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে গামছা পরে পুকুর জলে স্নান করে,গঙ্গা তুলসী জল দিয়ে তাবিজটা ভিজিয়ে তুলসী তলে গামছা হাতে হাত জোড় করে বলতুম,
হে কাব্য মহাসরস্বতী আমাকে তুমি আমার উন্নত কর শির , আমি বিদ্রোহী হব।
আমাকে ফ্রান্সে পাঠাও, আমি মাইকেল মধুসূদন হব, আমাকে জীবনানন্দ করো আমি বনলতার পাশে গিয়ে মোস্তাক তিশা হব,কাঞ্চন ময়ূরী হবো।

আর,অন্তর মম বিকাশিত করো প্রার্থনা করে করে বলতুম, হে বিদ্যালক্ষী মা, আমাকে তুমি রবীন্দ্র সংগীত লেখার সুযোগ করে দাও, হাতে গীতাঞ্জলি দাও,আমি নোবেল পাবো।
😭
সুধীর দাস
কলকাতা ১৮ মার্চ ২০২৪