জোঁনাকি ডেকেছে আমায় অন্ধকার বনে।
খোলা আকাশের নিচে একাকী নির্জনে।
বাড়িয়ে দুহাত আমায় করেছে আলিঙ্গন।
একান্তে মিলেছি দুজন পেয়েছি শুভক্ষণ।
রচেছি বাসর আমি আর তুমি অন্ধকার।
হাত রেখে হাতে চোখ রেখে চোখে করেছি অঙ্গীকার।
যাবো না আর ফিরে বন্দী ইঁটের কারাগারে।
কৃত্রিম সভ্যতার উজ্জ্বল আলোতে যাবো না ফিরে।
যেথায় মানুষ বিকোয় মনুষ্যত্ব মিথ্যাচারে ডুবে।
সত্য থাকে পথের পড়ে কাঁদে নিরবে নির্ঝরে।
মন্দ থাকে রাজা সেজে বিজ্ঞাপনের খামে।
ভালো তখন হেলায় ধূলায় মূল্যায়ন কমে।
নাইবা পেলাম আলোর ছটা মন্দ কিবা তাতে।
অন্ধকারে ভালোই আছি অন্ধকার রাতে।
জ্বলছে জোনাই মিটি মিটি ঝিঁঝির ডাকের তালে।
নদীর উপর জোঁনাই যেনো হাজার হাজার জ্বলে।
চাঁদের বুড়ি রান্না করে ডাকছে খাবি আয়।
বেগুন ভাতে ফেনা ভাতে আর তো কিছু নাই।
রাতের পেঁচা ডেকে বলে আমার পিঠে আয়।
তোকে আমি পৌঁছে দেব চাঁদের বুড়ির গাঁয়।
সব মিলিয়ে ভালোই আছি অন্ধকার মাঝে।
কোথায় আবার অন্ধকারে বাঁশের বাঁশি বাজে।
ডাকছে আমায় বাঁশের বাঁশি আয়রে কাছে আয়।
দুজন মিলে ঘুরে আসি মাঝি মল্লার গায়।
থাকবো সেথায় বাঁশির সুরে মিলবো গানের শেষে।
হারিয়ে যাবো অন্ধকারে অন্ধকারের বেশে।।