জ্যোৎস্নার আলো ফুরিয়ে এসেছে
কৃষ্ণাভ ধূমকেতু এগিয়ে আসছে কাছে
তারই সূক্ষ্ম কোণে অনিশ্চয়তা জুড়ে
দাড়িয়ে রয়েছে আমার সেই অন্তরঙ্গের বন্ধুটি
আমি চিনতে পেরেছি তাকে
এগিয়ে গেছি বন্ধুত্বের অভিলাষে।

তার উন্মুক্ত কেশ বিদিত সন্ধ্যার অবতরণ,
অথবা গাঢ় নীল সাগরে শানিত লহর-
যা আমার মর্মে অবিরাম করে চলেছে রক্তপাত।
তার অপরূপ রূপ, গোধূলির ঘ্রাণে দীপ্ত আঁখি,
অভিমানী ঠোঁট কাঁটা-মন্দার বৃক্ষের অবিকল অনুকৃতি।
স্মরণ করায় সবুজ তৃণে শিশির ভেজা কত মর্মরে স্মৃতি।

আমি নিভৃতে চৌখাটৈ বসে, পৌষের হিম রাত্রিতে
চেয়েছিলাম দিগন্তের জ্বলন্ত আকাশ পানে,
চোখের কোনায় নোনা জলের অস্থিরতা
ভিজিয়ে দিচ্ছিল আমার স্মৃতির পাতা।
তখনি তাকে চিনতে পেরে, নিঃসঙ্গতাকে পিষে-
বিনম্র কণ্ঠে দূর হতে শুধায় ছিলেম তারে-
'কোথা ছিলে এত দিবস হতে ?'
কত রক্তিম রাত, দুঃস্বপ্ন জর্জরিত বাসি ভোর
আমায় দীর্ঘদিন দেখিয়ে এসেছে ভয়।
'-কেমন আছো তুমি প্রিয়ম্বর...'

তোমার পরনে বঙ্গ বধূর শাড়ি দেখে বুঝেছি
তুমি এসেছ ফিরে-
তাই আজ তিক্ততার অবসান
কোনো রাখালের বংশী ধ্বনি ধেয়ে আসে-
তোমার আগমনে।
ওই দেখো প্রভাতের রবি,
নতুন দিনে, আসিয়াছে নব নূতনের বেশে।

অজানার খোঁজে চলিল যুগল
কত শত শতাব্দীর স্নেহের সমাগম।

দূর হতে দেখি আমারে-
কল্পনার খেয়ায় অদৃশ্য-
প্রকৃতির হৃদয়ে॥