(শুভ্র ক্লাস অভিমুখে উদ্যত এমতাবস্তায়  বন্ধু নীরবের পিছু ডাক)
নীরব-শুভ্র এই শুভ্র তুই কোথায়? তোর মোবাইল সুইচ অফ কেন ? বেশ কয়েক বার ফোন দিয়ে ও কোন পাত্তা পাইনি যে ।
শুভ্র- ই আর বলিস না দোস্ত মোবাইলে ব্যাটারি ডাউন ছিলো ।তাই  সুইচ অফ ছিলো।
নীরব- আচ্ছা শুন আমরা ইমন,শয়ন,তজো,সবায় মিলে আজ এক জায়গায়  যাচ্ছি তোকে ও যেতে হবে দোস্ত ,তুই না গেলে জমবেনা রে ।
শুভ্র-কোথায় বলবি তো।
নীরব -শুন,শৈবাল ভাই কে তো চিনিস তাই না , তার জন্য একটা মেয়ে দেখতে যাবো।তার বাবা মা আগে দেখে এসেছেন,এখন শৈবাল ভাই এর পছন্দ হলেই ব্যস গলায় ঝুলিয়ে দিবো ।কি বলিস যাবি তো ।
(শুভ্র আঁখি ইঙ্গিতক্রমে কিছু বোঝাতে চাইবে)
নীরব -ও ...ই...আর ......দোস্ত সবই হবে ।চল চল এক্ষনি ই যেতে হবে ।
শুভ্র- আরে দোস্ত আমার ক্লাস আছে যে ।
নীরব - আচ্ছা ঠিক আছে যাস না তা হলে।(লাইনটাতে কিছু টা অভিমান মিশ্রিত থাকবে)
শুভ্র- এই এই দাঁড়া দাঁড়া চল,তা হলে যাওয়া যাক।(এরিমধ্যে বাকি বন্ধুরা ও এসে যোগ হবে,শুভ্র এবং নীরব বাইকে করে বাকিরা মাইক্রোতে রওনা দিবে)
শুভ্র- ই আর নীরব শৈবাল ভাই তিনি কখন আসবেন ।
নীরব- আরে তারা পৌঁছে  গেছেন।ফোনে আমার সাথে আলাপ হয়েছে ।আমাদের জন্যই বাহিরে অপেক্ষা  করছেন ।তোর জন্যই তো এতো আমাদের লেট হলো।

(বেশ কিছুক্ষণের মধ্যে তারা গন্তব্যে পৌঁছে গেলো।ইয়া মস্ত বড় বাড়ি ।দেখছে শৈবাল ভাই তাদের জন্য অপেক্ষা করছে।হাতে নানান রকমারি মিষ্টি খাবারের সামগ্রীর প্যাকেট তাদের দেখে কোলাকোলি করে বাড়ির ভিতরে প্রবেশ করলো। অপরিচিত কয়েক জন মেয়ে তাদের কে রিসিভ করে গেস্ট রুমে সোফায় নিয়ে গিয়ে  বসালো।)
(বলে রাখছি তারা আসার কথা ছিলো দুপুর বারটা থেকে এক'টার মধ্যে ।কিন্তু তারা চলে এলো সকাল দশ টাই )হঠাৎ  শুভ্র'র আঁকুপাঁকু দেখে নীরব বলে উঠলো-
নীরব -শুভ্র কিরে কোন সমস্যা ?
শুভ্র- ই আর নীরব ......(বলেই হাত ইশারায় দিয়ে বাথরুমের ইঙ্গিত করলো।এমন সময় দেখছে একটা ছোট বাচ্ছা ছেলে পাশ কেটে যাচ্ছে ।তাকে ডেকে জিজ্ঞেস করতেই সে ইশারা করেই বলে উঠলো
-এই ভাবে সোজা গিয়ে ই পাশে যান।
(শুভ্র উঠে গেলো তাড়াতাড়ি,প্রচন্ড চাপে সে অস্থির । দৌঁড়ে যেতেই হঠাৎ  হতভম্ব একি দেখছে সে স্নানাগারে!!ভিগিভিগি চুল,জলাসক্ত  শরীর,ভিজে কাপড় ছেড়ে নেওয়ার প্রচেষ্টায় আধা কাপড় পরিধান কারি ললনা।মেয়েটির লুকানো সমস্ত রূপ এখন শুভ্রর আঁখির সামনে । শুভ্র বিস্মিত, থ" হয়ে গেলো ।কি করবে সে ঠিক বুঝে উঠতে পারছেনা।হঠাৎ কারো উপস্থিতি টের পেয়ে সামনে তাকাতেই শুভ্র কে দেখে চিৎকার দিয়ে ঘরের ভিতর চলে গেলো ।)
(উল্লেখ্য বাতরুম টা হচ্ছে কলপাড়ে ঘেরাও করা স্নানাগারের ভিতর )
(শুভ্র জরুরি কাজ সেরে আগের যায়গায় এসে বসেছে ।কাউকে কিছু বলছেনা,অনেকটা নীরব ভুমিকায়)নাস্তা এলো ,খেলো ।
হঠাৎ দেখলো কয়েক জন মেয়ে কনে কে সাজিয়ে নিয়ে আসছে ।শুভ্র'র ভাবি কনে কে দেখে আৎকে উঠলো । সে অন্য জগতে ভাসছে ।
কনে কে তার আসনে বসাতেই হঠাৎ শুভ্র কে দেখে চমকে উঠলো।কিছু ক্ষণ আগের ঘটে যাওয়া ঘটনা মনে পড়তেই চিৎকার দিতে উদ্যত-পরক্ষণে শুভ্র'র সান্তনা ইঙ্গিতে চুপ হয়ে গেলো ।লজ্জায় বিপদগ্রস্ত ভাবি কনে লজ্জায় যেন নীল হয়ে যাচ্ছে ।জীবনের এমন কঠিন ক্ষণ এসে  হানা দিবে তা সে স্বপ্নে ও ভাবতে পারেনি  নতুন ভাবি কনে।


রচনা
১৮।০৩।২০১৪