শুভ্র আজ কলকাতা চলে যাবে,যাবার জন্য সব প্রস্তুতি শেষ।
রজনী সামন্ত-দাদু ভাই ওখানে গিয়ে আমায় ভুলে যাসনে,খাওয়া দাওয়া ঠিকমত করিস,নিয়মিত পড়ালেখা করিস ।
শুভ্র- ওহ মাই ডারলিং  তোমায় কি করে ভুলি গো(বলে দাদিমার গালে একটা চুমু রেখা এঁকে দিলো )
বিজয়-ভাইয়া চলো তোমায় কিছুদিন এগিয়ে দিয়ে আসি।
লিলি সামন্তঃ শরীরের দিকে খেয়াল রাখিস বাবা ।
(দূর থেকে নম্রতা সেন মলিন বদনে চেয়ে চেয়ে দেখবে কিন্তু শুভ্র সে দিকে খেয়াল করে ও অখেয়ালে চলে যাবে)
(একে একে সবার কাছ থেকে বিদায় নিবে শুভ্র।অতঃপর ট্রেন ছুটে যাবে)

(পরদিন শুভ্র কলেজে গিয়ে সবার সাথে মোলাকাত করতে লাগলো বন্ধু-বান্ধব সবায় তাকে নিয়ে বেশ মস্তি করতে লাগলো।হঠাত দেখলো সুচিত্রা দূরে দাঁড়িয়ে
আছে এক বন্ধু এগিয়ে এসে বললো )
বন্ধু-শুভ্র ঐ দেখ সুচিত্রা ।(শুভ্র এগিয়ে গেলো হাঁটি হাঁটি পা পা করে)
শুভ্র- কি গো রাজনন্দিনী আছো কেমন ?
সুচিত্রা- শুভ্র আই এম সরি।আসলে তাদের এমন টা করা মোটেই ঠিক হয়নি।

শুভ্র- এনাফ!!এনাফ!! সুচিত্রা এনাফ!!আমি আর এই বিষয় নিয়ে আগে যেতে চাই না।সেই দিন থেকে তোমার রাস্তা আলাদা আমার রাস্তা ও আলাদা হয়ে গেছে ।আমি সব ভুলে যেতে চাই ।সেই দিন থেকে আমি ভুলে গেছি যে সুচিত্রা নামে আমার কোন
ভালো ফ্রেন্ড ছিলো ।
সুচিত্রা- শুভ্র আমি সেই বিষয় টা নিয়ে ভীষন ভাবে অনুতপ্ত।আমার মামা কাজ টা মোটেই ঠিক করেন নি ।তোমার এই গত কয়েক দিনের অনুপস্থিতিতে আমাকে অনেক কিছু বুঝিয়েছে ।আমাকে অনেক কাঁদিয়েছে।আমি অনেক বড় যন্ত্রণায়  ছিলাম।সারাক্ষণ নিজেকে  অপরাধীর ছোবলে গ্রাস করেছে । নীল হয়ে গেছে আমার দেহ মন ।

শুভ্র- উপ বাজে বকো না  সুচিত্রা।তা হলে সেই দিন কেন তুমি একবার ও তাদের বাঁধা দাও নি।তারা যেভাবে আমাকে  এমন জঘন্য ভাবে মেরেছিলো ।আমি তো তোমার
কোন ক্ষতি করিনি।তুমিই হেলে পড়েছিলে পা পিছলে আমার বুকে ।আর প্রতিদানে আমার পিঠে পড়েছে ......।উপ!! .........
আরে আমি ও বা কম কিসের ? আমি ও সেই দিন জবাব দিলে দিতে পারতাম কিন্তু
কেন দিই নি জানো ? শুধু তোমার মুখের দিকে চেয়ে ।আরে তোমার বাবার যদি আট-দশ টা ইন্ডাস্ট্রি থাকে আমার বাবার ও দশ-পনের টা আছে এই কলকাতা শহরে আমি ও বা কম কিসে ?আরে আমি যদি চাই না এক নিমেষেই  তোমার ঐ টেক কেয়ার বাহিনী কে এক বল এ ছক্কা  মেরে দিতে পারি ।আমি শুভ্র বুঝতে পেরেছো আমি শুভ্র....

সুচিত্রা-শুভ্র একটু শান্ত হও শান্ত হও ,প্লিজ,আমায় কিছু বলতে দাও ।
শুভ্র-আরে কি বলবে তুমি হ্যাঁ কি বলবে? আমি জানি,বলবে শুভ্র, শুভ্র আমি আমার মামার হয়ে তোমার কাছে ক্ষমা চাচ্ছি ওদের ক্ষমা করে দাও এই তো ?

শুভ্র'র কথা শুনে সুচিত্রা  কিছুই বললো না অসহায় নয়নে কেবল চেয়ে রইলো।অতঃপর কিছুটা শান্ত হয়ে বললো

শুভ্র -আচ্ছা ঠিক আছে মাপ করে দিলাম ।
সুচিত্রা-সত্যি -ই বলেই শুভ্র কে জোর করে ধরে জড়িয়ে ধরে একটা চুমু দিয়ে দিলো ।
(এই খানে একটা গান হবে তা আবার সুচিত্রা'র কল্পনায় )

পাখির গানে ফুলের গন্ধে
অরুণ আলোয় রবি,
ছটাং আলোয় রূপ মেখেছে
ঝলমল করছে সবি।।

বাসন্তী রঙ্গের শাড়ি"র শোভায়
আঁচল রেখেছি ধরি,
মধুর  ক্ষণের প্রভাত  আলোয়
চকমক করছে দেহ তরী ।

আকাশ ভরা তারায়,তারায়
সু-শ্রী চাঁদের বাস,
তোমার দেহের সুবাস মাতায়
উতলায় বার মাস ।

নিঝুম রাতের আশিস-পরশ
ভাসায় সাগর তীরে,
জীবনপূর্ণ স্নেহসুধা পুরবীরাগিণী
ভালোবাসার নীড়ে ।

(গান শেষে শুভ্র রাগ করে চলে যাবে)

রচনা
১৬।০৩।২০১৪