(পরিপাটি,দুপরের খাবার টেবিলে সবায় ।নানান রকমারি খাবারের সাজানো
চারিদিকে।কাজের লোকেরা পাশে দঁড়ানো ।লিলি সামান্ত একে একে সবায়
কে বাড়িয়ে দিচ্ছেন )
সবার উপস্থিতে মৈত্রীর অনুপস্তিত দেখে সুবল সামন্ত বলে উঠলেন-
সুবল সামন্ত- মৈত্রী এখনো কলেজ থেকে আসেনি ?
লিলি সামন্ত- আমি ফোন করেছিলাম আসতেছে বললো আমায় ।
রিক্তা সামান্ত-বাবা মৈত্রীর ব্যাপারে যে ছেলে টার কথা বললে তাঁরা কি কোন উত্তর দেন নি?
সুবল সামন্ত- আরে বাবা তাঁরা তো বড্ড তাড়া দিচ্ছে ,কিন্তু মৈত্রী তো ভিন্ন মত পোষন করছে ।মৈত্রী বলছে পড়াশুনা শেষ করুক তার পর বিয়ে ।আমি কি করি বলতো ?
রিক্তা সামন্ত- বাবা এই সব ব্যাপারে মৈত্রীর মত নিতে হবে কেনো ? আমরা যা ভালো মনে করবো তাই করবো।
সুবল সামন্ত- না রে মা এই টা ঠিক না , তার মতামতের বিরুদ্ধে কিছুই করা ঠিক হবে না । আর তা ছাড়া সে তো আর ঘর ছেড়ে পালিয়ে যাচ্ছে না ।
(রিক্তা সামন্ত গুন গুন করে কি যেন বললো কেউ কিছু বুঝলো না )
সুবল সামন্ত- কিছু বললি মা ?
রিক্তা সামন্ত- না বাবা কিছু না ।
অমিত- মা তুমি কি মৈত্রী আন্টির বিয়ের কথা বলছো? বাহ!!বাহ!!কি মজা কি মজা!
রিক্তা সামন্ত -অমিত দেখছ না আমরা কথা বলছি !! বড়দের মুখের উপর কথা বল কেন!! খাবার খাও তাড়াতাড়ি ।
(কথা গুলো রিক্তা সামন্ত একটু চোখ রাঙ্গিয়ে বলল ,অমিত ভয়ে মাথা নিচু করে খাবার ভান করতে লাগলো )
শুভ্র - আরে আপু তুমি অমিত কে কেন বকছ ? অমিত আবার কি করলো?
রিক্তা সামন্ত কিছু বলতে উদ্যত এমন সময় সবার নজর কাড়লো দরজায় মৈত্রী এবং পাশে আরেক টি মেয়ে কে দেখে
সুবল সামন্ত -আয় মা আয়,আরে নম্রতা যে কেমন আছো মা ?
(নম্রতা কে দেখে শুভ্র হা করে তাকিয়ে আছে )
নম্রতা- হা আঙ্কেল আমি ভালো ।(নম্রতা এগিয়ে গিয়ে সুবল সামন্ত এবং লিলি সামন্ত কে সালাম করবে রিক্তা সামন্ত কে প্রণাম করতে গেলে বুকে জড়িয়ে নিবে)
মৈত্রী- আরে ভাইয়া তুমি নম্রতা কে চিনলে না ? এমন করে তাকিয়ে আছো কেনো ?
(শুভ্র থতমত খেয়ে বলে উঠলো)
শুভ্র - আগে চিনতে পারি নি তবে এখন চিনতে পেরেছি ।
সুবল সামন্ত- নম্রতা মা আমার তুমি ঠিক সময়ে ই এসেছো । সবায় আজ আমরা
এক সাথে খাবো খেতে বস ।
নম্রতা- না আঙ্কেল আমাকে এক্ষনি বাসায় ফিরতে হবে । আমি এসেছি আপনার কাছে ...।
সুবল সামন্ত- কেন তুমি নিয়োগ পত্র পাও নি ।আমি তো সাইন করে দিয়েছি ।তুমি আমাদের কোম্পানির এডমিন সুপারভাইজার হিসেবে নিয়োগ পেয়েছো ।
নম্রতা- সত্যি আঙ্কেল (নম্রতা একটু পাগলপনা নেচে উঠবে সবায় তা দেখে হেসে উঠবে।লজ্জায় নম্রতা বলে উঠবে )
নম্রতা - স্যরি আঙ্কেল
লিলি সামন্ত-আরে বেটি স্যরি টরি ছাড় তো আয় খেতে বস ।
নম্রতা -না আন্টি অন্য দিন ।আগে সু খবর টা পরিবারের সবায় কে দিই ।(উচ্ছাসিত মন নিয়ে চলে যেতে উদ্যত দরজায় শুভ্র কে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে পাশে গিয়ে ছোট স্বরে বলে উঠলো)
নম্রতা- হাই বস !! কলকাতায় থেকে থেকে নিজে কে অনেক বদলে নিয়েছো হ্যান্ডসাম লাগছে বেশ জাক্কাস ফাক্কাস ..................।
শুভ্র -ঐ ঐ জাক্কাস ফাক্কাস এর কি দেখলে সময় এলে বুঝিয়ে দিবো ।
রচনা
১১।০৩।২০১৪