হে নারী
মমতার ধরিত্রী, স্নেহের সাবিত্রী, মৃন্ময়ী উর্বর শস্যক্ষেতের মাটি,
আগোচালো মন, যখন তখন টনটন,রাজনন্দিনীর ঠোঁটের পাটি।
মনের আঙিনার- কোণে, আকাশের চাঁদ -তারা ভরা আসমান,
নারীর বুকের সমুদ্রের জলে ঠাঁই মিলে,পূর্ণতা আলোর আগুয়ান।
অস্তরবির সোনার কিরণ, নারী দেহের রূপের সুধার ছায়াপুরে,
লজ্জায় মরে, কেঁদে ফিরে ঘরে,হরষে বিষাদে,পশ্চিমাকাশ ধরে।
বুকের আঁচলে স্নেহের পরশে, মধুর শ্যামল, সুনীল ,সিন্ধু তীর,
দখিন সমীরন দোল খেলে যায় মনে,গন্ধ সুনির্মল উষ্ণ মৈত্রীর।
নারী দেয় মান,নারী দেয় প্রাণ,সুখের নিশিতে দীপ্ত হৃদয়ে ভরি,
চুমিল পুরুষ অধর কাঁপানো ঘামে কম্পিত দেহ ভাসালো স্বর্ণ তরী।
আবার,ঐশ্বর্যরাশি নারীর রূপে সর্বহারা নর ছুটে যায় মৃত্যু সর্বভুক,
কামনা,বাসনা,দেখিয়ে নারী রঙিন রসে শিখরকাটে কাঁদায় তপ্তবুক।
মানব কারিগর স্রষ্টা জাদুকর দিয়েছেন অরুণবরন নারীর বক্ষে,
যুবতী প্রণতি প্রণয়ের আলিঙ্গনে পুরুষ,বৈঠা বেয়ে যায় দর্স্তর কক্ষে।
নারীর অঙ্গের বাঁধনে বাঁধা পরে কত, পথ হারা আলোর দিশারী,
ভালোমন্দয় বিকীর্ণ পথ শীতল করে নারীর পরশে শ্রাবণ বৃষ্টিধারি।
নারী ভোগের সামগ্রী, সুখবিলাসী,যৌবন তাপে মনে আনে যে জন,
গর্জনগানে কাঁদবে তার জননী, হুহু হুংকারি অভিশাপে দগ্ধ সে মন।
রচনা
১৮।০১।২০১৪