বর্তমান এই যুগে ভাল মানুষ চেনা বড়ই দুষ্কর ।মিষ্টি মিষ্টি কথার প্রসরা সাজিয়ে দারুন ভাষার স্বরলিপি বিন্যাস করে এমনি ভাবে স্ক্রিপ্ট রচনা করবে যে নেগেটিভ-প্রজেটিভ বুঝা টা দুরহ হয়ে উঠে । প্রত্যেক মানুষের মনুষ্যত্ব বলে কিছু আছে ,এটা অস্বীকার করার কোন যুক্তি নায় । কিন্তু মানুষ তা সঠিক পথে ব্যবহার করছে না । এই পৃথিবীতে আমরা ক্ষণিকের অথিতি মাত্র । স্বল্প পরিসরের এই জীবনে আমাদের চাওয়া পাওয়ার কোন অন্ত নায় । আর তায় চাওয়া থেকে পাওয়াতে পরিনত করতে চাই অবিরত । আর তা যে কোন কিছুর মুল্যে । ক্ষমতা অর্জনের লোভে মানুষ মানুষ কে কেমন পাখি শিকারির মত ব্যবিচারে শিকার করছে । এটা কোন ধরনের ক্ষমতা অর্জন ? কোন ধরনের রাজনীতি ? বিবেকের কাছে প্রশ্ন আমার !!! এই ধরনের ক্ষমতা অর্জন একটা সুশীল রাষ্ট্রের জন্য কত টা নিতিবাচক তা আমার বোধগম্য নয় । সর্ব জাতির মানুষের মেলায় একটা রাষ্ট্র গঠন হয় । এখানে কে হিন্দু ,কে মুসলিম আর কে খ্রিষ্টান তা তলিয়ে দেখার কোন প্রয়োজন আছে বলে আমি মনে করি না ।৭১ এ কিন্তু এই ভেদাভেদ টা ছিল না ।পরিচয় ছিল আমরা সবায় বাঙ্গালী । একটা সুন্দর আপনা দেশ গড়ে তুলবো এই সংকল্প ছিল সবারি মনে তায় ২১ মাস সংগ্রাম । আর তা অর্জন ও হল সর্ব চেষ্টার ফলে । কিন্তু বর্তমান ক্ষণে একি নিদারুন ক্ষমতা লাভের সংগ্রাম এর আসর বসেছে এই বাংলায় ? ভাবতেই মনুষ্যত্ব বোবা কান্নায়
বিলাপ করে উঠে । কেমন ভাবে সংখ্যা লগুদের উপর অত্যাচার হচ্ছে । একটা স্বাধীন রাষ্ট্রে আমরা সবায় একে অন্যের পরিপূরক । তবে কেন এমন অশ্লীল অরাজগতার তাণ্ডব লীলার আসর বসেছে । আমরা কি পারিনা সব কিছু ভুলে 'আমরা বাংলাদেশি' এই গর্বে গর্বিত হতে ?? জামাত শিবির,আওয়ামীলীগ ,বি এন পি ,হেপাজত ইসলাম সবায় মিলে, সব কিছু কে ভূলে একটা নিদারুন সোনার বাংলা গড়ে তুলতে ? এমন সু সময় কি কখন ও আসবে না ? যেখানে থাকবেনা কোন হানাহানি ,মারমারি থাকবেনা কোন ক্ষমতার লড়ায় । নিদারুন আকুতি আমার সব হৃদয়বান মানুষের সমীপে ..................রুম্পা শিমুল .

==============================

স্বপ্নের ঘুড়ি কবিতা
রুম্পা শিমুল
------------------------
ভাবছি এক খণ্ড কাব্য রচনা করব
অ ,আ ,ক , খ এর সংমিশ্রনে
বাংলা ভাষার ঝলকানিতে
আধ্যাতিক কিছু সাহিত্য কথা খুঁজে
রোমাঞ্চকর কিছু সংলাপ এনে
হাসি আর কান্না এর স্বমন্বয়ে
চাওয়া পাওয়া ,সুখ দুঃখের
কবিতার ঢালা সাজিয়ে ভাষার ভুলি বোঝায় দিব ।
নব্য ভাষা তুলে এনে বাক্যের পর
বাক্য বসিয়ে অর্থ সাজিয়ে নাম দিব
'স্বপ্নের ঘুড়ি কবিতা '

কবিতা নং - ১৯০৬
খসড়াঃ- ১১.০২.২০১২

তেপান্তর
রুম্পা শিমুল
============


১২.০২.২০১২


চন্দ্রবিন্দু
রুম্পা শিমুল

সৎ সংঙ্গ স্বর্গ রঙ্গ
অসৎ সংঙ্গ জীবনের লক্ষ্য ভঙ্গ
জীবনের জীবিকা
চাওয়া আর পাওয়ার পরিভ্রমন
লোভাষ্ণু জিব্বার লালসা বর্জন
তবে মিলবে সুখেরি মন্তণ ।

জীবনের সুখের প্রদীপ
সু-সংঙ্গের মাইলপলক
পাওয়ার আকাঙ্কায় মসৃন
সপ্ত রংঙ্গের রংধনুর ঝলক ।

মনআশার মনের অবাদ ভঙ্গিমা
চাঁদনী রাতের শুভ্র চন্দ্রিমা
সুস্ত মস্তিকের বিচরণতা
জীবনের সুখের সখিনতা
তবু ও যেন অপূর্ণতা
সমীকরন অসঙ্গতা
সুখের সঙ্গ খোঁজা
সৎ-অসৎ এর রঙ্গ বুঝা ।

জীবন তো নয় 'চন্দ্রবিন্দু'
পর ঘাড়ে বসে বানায় বন্দ্বু
জয় করবে বিষাদ সিন্দু
সাঁজাবো সুখের মহাসিন্দু ।

শুভেছান্তে............
রুম্পা শিমুল
২১.০১.২০১২

____আশা
রুম্পা শিমুল
জীবনের স্বাধ কভু পুরাবার নয়
যত চাওয়া পাওয়া আর সব সম্মনয় ।
চাওয়ার আকাঙ্কা যেমন সুমুদ্র সমান
বিলাসিতার ভূ-খণ্ডে তার জৈবিক প্রমাণ ।
আশার বুকে বাসা বাঁধা
অব্যাক্ত আবেগ সর্বনাশা
জীবনের জীবদ্দশা
ভালোবাসা ভালোবাসা ।
অন্তরঙ্গ আলাপন
জীবন সংগ্রাম এর সঙ্গী যে জন
কথার উপর উষ্ণ ঘি মন্থন
আবেগ নয় এ তো বাস্তব সংকলন ।
আশাঢ় শ্রাবণ যেমন বারিশ ঝড়ে
জীবনের স্বাধ তেমন না পুরাবার তরে ।
আশার শেষ সীমানা
কে জানে তার ঠিকানা
তবে কি বলব ?
জীবন টা নয় পুরু ষোল আনা ?????
২২.০১.২০১২

রুম্পা শিমুল
বিশাল রনাঙ্গন
কি ভাবে দিব পাড়ি তপ্ত
মরুভুমির বৈকুণ্টে
তীব্র অনলের উচশৃঙ্কলতায়
মন টা আজ খাঁ খাঁ ।
বৈতরনীর পথিক আমি
কোথায় তার আপন ঘর
গতানুগতিক পথ নায় জানা
তায় আজ মন টা এক পায়ে সূর্য !!!
কেবল চৌদিকে ঘুরছে পৃথিবীর মত ।
বিষণ্ণ বদনে ঘামাক্ত লোনা জলে
টক টকে লালের আভায় তসবীর
যেন এক লাল গোলাপ ।
পাব কি আমি ঐবৈতরনীর ঠিকানা ???

শুভাছান্তে.......
রুম্পা শিমুল

-------প্রশ্ন ??

_________________________________
খোকা আসছে.........খোকা আসছে.........
এ কোন এক বিধবার অশ্রু
ঝলসানো চোখের করুন আকুতি
বিলাপের সুর, গচ্ছিত ভালোবাসা
বুকে চেপে রাখা এক বঙ্গ জননীর
শত আশা বুকে বাঁসা বাঁধা পুএ ফেরার
পানে অপলক দৃস্টি
খোকা ফিরবে.....খোকা ফিরবে....
স্বাধীন করে বাংলাদেশ ।
==========================
বাবা আসছে.......বাবা আসছে.......
এ কোন এক পিতৃহারা অবুজ মেয়ের
খেলার ছলে কন্নার ঝড়
জন্ম অবধি বাবা কে না দেখার
হাহাকারে তার ছেরা বীণার বেতাল সুর
ফাঁটা তবলার বেতাল লয়
ছন্দ বিহীন গানের বি-মাএা সুর ।
বাবা আসবে.....বাবা আসবে.....
স্বাধীন করে বাংলাদেশ
==========================
প্রানসখা আসছে....প্রানসখা আসছে....
এ কোন এক সঙ্গ বিহীন
জীবন সঙ্গীনির একাকিত্বের
ভালবাসার আঁচল পাঁতা প্রসরা
উষ্ণ ভালবাসায় নিংড়ানো
লোভনীয় আবেগের হাঁট
আলতো আলতো ছোঁয়া
মিস্টি মিস্টি কথার উপর কথন
চেয়ে চেয়ে থাকার উপঢৌকন
অতৃপ্ত বাসনা পুরন এ যেন
পাগল করা হাহাকার ।
প্রানসখা আসবে.......প্রানসখা আসবে.......
স্বাধীন করে বাংলাদেশ ।
===========================
খসড়াঃ-০৭.০২.২০১২

সম্পর্কের কারুকাজ
রুম্পা শিমুল
----------------------
হে পুরুষ .......
'তুমি সর্বকালের সর্ব যোগী'
কখন ও বা বাবা ,
যার মমতা , ভালবাসায়
মনুষ্য কুলে জন্ম ।
কখন ও বা ভাই ,কাকা জেঠা
যার সম্পর্ক চন্দ্র সূর্যের মত ম্রিয়মাণ ।
কখন ও বা প্রেমিক ,বন্দ্বু , সহপাটি
যা শ্রেণী বেধে বিন্যাস ।
কখন ও বা স্বামী
যার ঠিকানা কেবল বিশ্বাস ,ভালবাসা
আর স্রষ্টার অপার আদেশে
হৃদয়ের বন্দন ।
কখন ও বা বিধবার অন্ধের ষষ্টি
যেথায় কেবল জননীর
আশার প্রসরা সাঁজানো ।

পাশাপাশি
হে নারী ..........
তুমি তো জগতের জন্মধাত্রী
কখন ও বা 'মা' রূপে
যার মায়ার অস্তিত্ব সমুদ্রের মত বিশাল
পর্বতের উচু চন্দ্র সূর্যের মত উদার,
যার প্রসব বেদনা বড়ই বেদনা বিধুর ।
কখন ও বা বোন,খালা , চাচী ....
কখন বা প্রেমিকের প্রান প্রিয় প্রেমিকা
কখন ও বা পতির সহ ধর্মিণী ।
যেথায় কেবল গুপ্ত ভালবাসার
মিলন মেলা ।
উপ!!! 'বিধাতার কি অপরূপ সৃষ্টি '
এই ভাসমান দুনিয়ায় অসাধারন
সম্পর্কের নিপুণ কারুকাজ ।

খসড়াঃ- ০৭/০২/২০১২


অতীত কিছু বাস্তব কথোপকথন
রুম্পা শিমুল
----------------------------------------
>''আচ্ছা'শ্রাবন্তী'বলত এমন কোন দিন আসবে যে,
পৃথিবীতে আর চন্দ্র সূর্য উঁকি দিবে না'' ?
>>''হি হি যখন আমি তোমায় ভুলে যাব'' ।
-----------------------------------------------------
>''আচ্ছা'শ্রাবন্তী'বলত এমন কোন ক্ষণ আসবে যে'',
'পাখিরা আর মনের সুরে গান গায়বে না
কিচির মিচির করে মন রাঙ্গাবে না' ?
>>'' হি-হি যখন অকারনে তোমার আঁখিদ্বয়ে
অশ্রু সাজাবো'' ।
-------------------------------------------------------
>''আচ্ছা'শ্রাবন্তী'বলত এমন কোন বাঁধা আসবে যে,
তুমি আর এই মন মোহনায় ভালবাসার ডিঙ্গা ভাসাবে না'' ।
>>''হি হি হয়ত বা সেই দিন আমার জন্য সাড়ে তিন হাত
মাটি খুঁড়তে হবে'' ।
--------------------------------------------------------
>''আচ্ছা'শ্রাবন্তী'বলত এমন কোন রাত আসবে যে,
অন্যের বিছানায় তুমি বাসর রচনা করেছ'' ?
>>'' হি হি সেটা হবে মাটির ঘর'' ।

'অথচ সেই তুমি 'শ্রাবন্তী' দেখ সূর্য উঁকি দিচ্ছে , পাখিরা
গলা ছেড়ে গান গায়ছে, সাড়ে তিন হাত মাটি ও আছে।
'মাটির ঘরের বদলে বাসর ঘরে নব সুখের জ্বলসানি তে জ্বলছ আজ' ।
কেন 'শ্রাবন্তী' কেন ?? উড়ো মেঘে জুড়ে বসলে ?
''আমার স্বপ্ন ডিঙ্গার আশার প্রসরা কে বানে ভাসিয়ে'' ?
সংখ্যা- ১০০৭
খসড়াঃ-৫.০২.২০১২

দিন টি ছিল এমন
রুম্পা শিমুল
------------------------------
সে-দিন প্রভাতে লাল সুরুজ টি
এমন ভাবে আলো ছড়িয়ে ছিল
যার আভা তে পুরো বঙ্গ যেন
খুশির মাতালে মাতোয়ারা
উজ্জল সাত রঙ্গে ছএহারা
খুশির বন্যায় বঙ্গমাতা দিশেহারা
দিন টি ছিল এমন বঙ্গবাসীর বঙ্গবানী
ফিরে পাবার দিন ।
--------------------------------
সে-দিন প্রভাতে দেশমাতৃকার ডাকে
ছুটে যাওয়া সন্তানের ঘরে ফেরার
আশায় জন্মধাএী ছলছল নয়নে
আনন্দঅশ্রু মিশ্রনে অন্ন সাঁজিয়ে
ফেরার প্রহর গুনা কখন আসবে
আমার খোকা ?কখন আসবে ?
দিন টি ছিলএমন অধিকার
ছিনিয়ে আনার দিন ।
----------------------------------
সে-দিন প্রভাতে সদ্য ভুমিতে পড়া
নবযাতক শিশুটির হাসি টা ও ছিল যেন
অসুর বধের এক ভয়ানক মুক্তঝরা হাসি
যার সন্দৌয্যতায় গোটা বাংলা
জয় বাংলা জয় স্লোগানের জরে পুড়ছে
দিন টি ছিল এমন এক সাগর রক্তের ফসল ।
-------------------------------------
সে-দিন প্রভাত টা ও ছিল নব পরিণয়ের
বন্দনে বন্দনী নববধুর নতুন
স্বপ্নের বাগানে স্বাধীন সংসার
সাঁজানো মানচিএে আঁকা মায়াবী
আঁখী যুগল এ জীবন সাথী
ফেরার আশার পায়চারি ।
দিন টি ছিল এমন ২১ এ ফেব্রুয়ারি
মহান ভাষা দিবস
মায়ের মুখে অ ,আ , শুনার দিন ।
-------------------------------------
খসড়া ০৪.০২.২০১২

স্বপ্নের নীড়
রুম্পা শিমুল
-------------------
আজ আমি বড় ক্লান্ত
বিষাদতার পাহাড় চেপেছে
মন কুঁড়ে ঘরে
কেবল আত্নচিৎকারের প্রতিধ্বনি ,
অবলীলায় অনায়াসে কষ্টের বিধুরতায়
মন আজ উন্মাদ ।
অস্থির উন্মাদনায় জীবন, মন স্বপ্নের নীড়
আজ শুভ্র বরপ সামিল , নিথর ।
শোদ বিহীন বিকলাঙ্গ মন যেন
হা-হা-কারের সাগরে ভাসছে
নঙ্গর ছেঁড়া তরীর মত ,
'শ্রাবন্তী'
কেবল স্বপ্নের রাজ্যে তোমার
অভিনব প্ররোচনায় ।
-------------------
সংখ্যা -১০০৬
খসড়াঃ-৪.০২.২০১২

_______অন্যের ঘরের ঘরণী
___________শিমুল শুভ্র
সেই আমলিকি গাছ টি এখনো বিধ্যমান
যেখানে দু-জনে বসে রোজকার রুটিনে
কথায় আর ভালোবাসার জ্বরে ভুগতাম অভিরাম
রাখালিয়ার বাঁশরীর সোনালী সুরে মাতোহারা ক্ষণ
পাল তোলা মাঝির ভাঁটিয়ালির টান এ যেন
এক মাতাল করার অনুভুতির শেষ বিকাল ।
অথচ আজ তুমি হয়ে গেলে অচেনা পৃথিবীর বাসিন্দা !!

সেই আওয়াজ টি এখনও টি আমার মনে সুরে বাঁজে
'এই শুনো না আমি না তোমায় প্রচুর... ভালোবাসি '
কোকিলের কণ্ঠের ন্যায় সু-মধুর শব্দ তোমার
শুনে পাগল হতাম আমি,
না দেখে আমাই পাগল হতে তুমি ,
লাল ঠোঁটে যখন হাসি ছড়াতে বারংবার
মনে হত যেন তুমি এক পূর্ণিমা শশী ।
অথচ আজ তুমি হয়ে গেলে কোন
এক অচেনা অজানা রাতের অদৃশ্য পূর্ণিমা পরী !!

সেই কাল কেশী চুলের গন্দ তোমার
আদৌ নাকে এসে বাসা বাঁধে অনর্গল
উপঃ কি পাগল পারা মাতাল করা সৌরভ
মন টা কে করত কেবল চঞ্চল ।
অথচ আজ তুমি, হলে অন্যের ঘরের ঘরণী !!
অন্যের সহচরী !!
৩/২/২০১২

প্রবঞ্চনা
==শিমুল শুভ্র
ফুল কে ভালবাসতে আজ ভয় হয়
যদি কাঁটা এসে বিঁধে বসে..
ফল কে ভালবাসতে আজ ভয় হয়
যদি ভিতরে পোকা থাকে ....
সূর্য কে ভালবাসতে আজ ভয় হয়
যদি তীক্ষ্ণ অনলে পুড়িয়ে মারে ...
আঁধার কে ভালবাসতে আজ ভয় হয়
যদি কাল আঁধারে পথ কেড়ে নেয় ....
নতুন কোন স্বপ্ন দেখতে বড্ড আজ ভয় হয় 'শ্রাবন্তী'
যদি তোমার মত কাঁটা, পোকা ,অনল এ
আঁধারের রাজ্যে নিজে কে হারিয়ে ফেলি ,
আগোছালো জীবন স্রোতে ........
যদি ও আজ আমি এক যাযাবর
শুধু তোমার প্রবঞ্চনায় ।
খসড়াঃ-১০০৬
৩০.০১.২০১২

বাসর পিঞ্জিরা
---------------শিমুল শুভ্র
হয়তো বা সেই ক্ষণ টি আজ তোমার কাছে
পুরুটায় অপরিচিত !! অচেনা সময়,অচেনা বিকেল
কত শত সৃতি বিজড়িত ভাল লাগার আবেশে ঘেরা
নিভু নিভু দিনের শেষ সীমান্তে যখন ভালবাসার
এক অপরিসীম আমেজে দুই জন মেতেছিলাম উষ্ণতার
নিপুন আভরনে ভালোবাসার মন ডিঙ্গাই , তখন ছিলে
তুমি আমার জীবন নদীর পাল তোলা নৌকা ,
আর আমি সেই পদ্মার নৌকার মাঝি ।

'শ্রাবন্তী'
সেই পদ্মা, সেই মেঘনা ,সেই যমুনা আদৌ আছে
সম্পর্কের পরম্পরায় অবিরল বহমান মোহনায়
কি দোষ ছিল এই মন মাঝির তুমি রাখলে জীবন যন্ত্রণায় ।
ভুল টা কি এই ছিল মন মাঝির তুলেছিলো প্রেম পাল
পাটি গনিতের ন্যায় হিসেব কষে কেড়ে নিলে হারপাল ।
সাঁজিয়েছিলে তুমি মনের বাগান স্বপ্নের আঙ্গিনায় 'অথচ'
আজ তুমি বধূ সেজে বসে আছ অন্যের বাসর পিঞ্জিরায়।
খসড়া-২৭-০১-২০১২

_____এই তো বেশ আছি
______শিমুল শুভ্র
এই তো বেশ আছি 'শ্রাবন্তী'
এখন তুমি বিহীন,
যদি ও মনের টবে আর
ফুল ফোঁটে না
সাঁজাবো জীবন তোমায় নিয়ে,
সে আশা আর বাসা বাঁধে না
রাঙ্গাবো জীবন ,
তা আর রং তুলির আঁচরে
সেই আলপনাই আর আঁকে না ।

এই তো ঢের আছি এখন
এ শুন্য জিবনে
যদি ও কেবল অপূর্ণতা খেলা করছে
রসিকতায় খেলার ছলে,
জল ঝরাচ্ছে আঁখি জলে
হৃদয়কুঞ্জের ক্ষত স্থলে
জ্বলে জ্বলে গুমড়ে গুমড়ে ।

এই তো ভালো আছি
নিঃসঙ্গের সঙ্গোপনে
একাকী্ত্বে নিজুম কক্ষে
আলো বিহীন বিশাল কুঞ্জে
খাঁ খাঁ কষ্টের খর তাপে
নীল কষ্টের নীল আভরনে
এই তো বেশ আছি
পাগলের মতো তোমায়
ভালোবেসে
'শ্রাবন্তী' ....
২৫/০১/২০১২

চিরন্তন
রুম্পা শিমুল

'এমন কিছু কথা আছে
যা বলার মত নয় '

'এমন কিছু ক্ষণ আসে
যা প্রকাশ করার মত নয় '

'এমন কিছু চাওয়া আছে
যা পায়বার মত নয়'

'এমন কিছু দিক আছে
যা দেখার মত নয় '

'এমন কিছু ভাষা আছে
যা শুনানোর মত নয় '

'এমন কিছু বাণী আছে
যা মানার মত নয়'

'এমন কিছু আশা আছে
যা পুরাবার মত নয়'

'এমন কিছু লেখা আছে
যা ফেসবুকে বিন্যাস এর মত নয় '
খসড়া ;- ২৪.০১.২০১২

'শ্রাবন্তী'
স্বপ্ন সুখের উল্লাসে কাঁপা ছিল
শুধু তোমাকে ঘিরে
এক মুঠু সুখ খুঁজব তোমার সান্নিধ্যে ।

অচেনা আশার নীড় বেঁধেছি
আমার স্বপ্নের আঙ্গিনায়
তোমার সঙ্গী হব বলে ।

ধন সম্পদ প্রতিপত্তি সবই তো ছিল তুচ্ছ
শুধু মোর ভালবাসা অর্পণে
কাঙ্গাল এর কঙ্কাল হয়ে ঘুরেছ
আমার সঙ্গপনে ,
ভালবাসায় ভাসিয়েছ ঝড়ের
মহাপ্লাবনে.......

তবে আজ কেন এমন করলে
'শ্রাবন্তী'
ভাঙ্গা ডিঙ্গাই আমায় ভাসিয়ে
পাল তোলা নৌকায় তুমি
বহর সাঁজালে ।
শিমুল শুভ্র
২০/০১/২০১২



শিমুল শুভ্র
=======
তুমি আসবে বলে
এখন ও পাঞ্জবি টা
আলমারি তে তুলে রাখি নি
আসলে একই কালারের শাড়ি
পরে আমরা দু-জন দু-জন কে
দেখব বলে 'শ্রাবন্তী' ।

আচ্ছা তোমার মনে পরে
সেই দিনের কথা ?
তুমি তোমার পছন্দে
আমার পাঞ্জবি টা আনলে
আমি আমার পছন্দে
তোমার শাড়ি টা আনলাম
কি ভয়ানক কাণ্ডই না ঘটলো সে দিন দু-ই জনের মাঝে,
হালকা কালারের আকাশী রং
কি সুন্দর দুটি-মনের মায়াবী মিল
অথচ 'শ্রাবন্তী'
আজ তুমি অন্যের মন ভবন এর বাসিন্দা ।

তুমি আসবে বলে,
নিজেকে আবার নতুন করে
সাজায় নি শুন্য ঘর টির
শোভা  পাবার আশায় ।
আচ্ছা তোমার কি মনে পড়ে?
যে দিন তুমি এসেছিলে আমার কুঞ্জে
লাল টকটকে শাড়িতে নিজে কে
জড়িয়ে, কি অপুর্ব ই না লাগছিল,
আমার পাগল পনা ছাওনিতে
তুমি বলেছিলে গিলে খাবে নাকি ?
অথচ 'শ্রাবন্তী'
আজ তুমি আমাই গিলে খেয়ে
হলে অন্যের বড়শির খাবার ।
ফিরে আসবেনা .......... ?।

খসড়াঃ--১৯/০১/২০১২...

ঝরা ফুল
রুম্পা শিমুল
সৃস্টির উপত্তকায় যখন একলা পথ খুঁজি
সামনে এগুবো বলে
বাস্তবতা তখন ভুৎকে উতলে দাঁড়ায়
জীবনের লক্ষ্যে সীমানা স্থাপনের প্রয়াসে কিন্তু ,
বাঁধা আর বিগ্নতা তখন আঁকড়ে ধরে
রক্ত চোষা কালো কীটের ন্যায় !!

জীবনের প্রতিটা পরতে পরতে
সাজাতে চেয়েছিলাম
শিল্পীর নিপুণ তুলির অহমিকায়
রংধনুর সাত রংএর সমহারের প্রসরা
কিন্তু মন ভাঙ্গা শিল্পীর রং তুলি ও
যেন রুপালী রং এ আর রাঙ্গাতে নারাজ !!
আর.............
আজ আমি যেন একটি ঝরা ফুল
'নম্রতা' শুধু তোমার নিম্মতায়
অচেনা হল চেনা পৃথিবী
আর নিজেস্ব ভুবন ।

-------------------------------

লাল টিপ
রুম্পা শিমুল

আজ ও মনে পড়ছে সেই দিন টি
জন্ম দিন ছিল তোমার
গোধূলি লগ্নে আমি হাজির
তোমার দরজায় তুমি
লাল টুক টুকে শাড়ি পড়ে
অপেক্ষ্যায়,আমরি আশায় ।
সে কি রূপ তোমার দেখলুম সেই ক্ষণে
কাজল কালো ভ্রমর, দিঘল কালো কেশ
কপালে টিকলি, অধরে লালভো লিপিস্টিক,
কোমরে বিচা ,আর টক টকে 'লাল টিপ '
'আমি যেন উন্মাদ তোমার রূপে '
মনে হয়ে ছিল যেন সদ্য আগুন্তুক চন্দ্র টি ও
আবার ফিরে যাবার জন্য তৈরি লজ্জায়
'এ সব আয়োজন ছিল শুধু আমারি জন্য '
আমার দু'চোখ যেন ভরে গেল ।
অথচ আজ তুমি ....
অন্যের চোখের নীল চশমা ।

১৫/০১/২০১২

কোন এক রাতের আত্নকাহিনী
রুম্পা শিমুল
ঘুট ঘুটে আঁধারের শোভা কে ভেদ
করে পূর্বঞ্চাল দিয়ে ভেসে উঠেছে
এক খণ্ড শুভ্র টিপ ...
যার আবছা আলোর শোভায়
পুরু জগত টা যেন মুচকি হাসতে শুরু করেছে
ঝি-ঝি পোকা গুলো তাদের থোকায় থোকায়
জিলিক জ্বালিয়ে বিচরণ করছে এধার ওধার ।
বাবা আমার পাশে এসে বসলেন
চাঁদ দেখবেন বলে আমি বায়না ধরলাম
'বাবা প্লিজ একটা গল্প বল '
অনেক অনুরোধে বাবা বলতে শুরু করলেন
এক রাজা এক রানী...............
......................................
আমি মুগ্ধ হয়ে শুনলাম,
আর জ্যোৎস্না ভরা রাতের
অপ্রতুল রূপ অবলোকন করলাম ।
শিরশিরে হিমেল হাওয়ায়
নিজে কে মাতিয়ে রাখলাম ।
সারা রাত ধরে সে কি ভীষণ মজা
আজ ও বারংবার মনে এসে হানা দেয়
বাবার পাশে বসে জ্যোৎস্না ভরা রাত দেখা ।

১৪.০১.২০১২

'নিশিতে স্বপ্ন দেখছি '
রুম্পা শিমুল

কোন এক তমাল বৃক্ষের
তলে আমার বসবাস
চারিদিকে কেবল তমাল পরী
সব আমাই আপ্যায়নে ব্যস্ত ,
আমি তো ভয়ে কুপোকাত
এ কোন তমাল পরী দের
মিলন মেলা চারিদিকে কেবল
শুভ্রতার প্রসরা সাজিয়ে সেজে আছে
পরী সখা গন !!!!!!!!!
সবায় হাসছে আমি ও হাসছি
মাঝে মাঝে ওদের হাসিতে
লাল সিঁদুর এর গন্ধ পাচ্ছি
'আচমকা আমি চমকে উঠি
আঁখি মেলে একি দেখি' !!!
আমি যে আমার বিছানায়
লেপের আঁচলে পড়ে আছি ।

১২.০১.২০১২ ''

রুম্পা শিমুল
'নিরবে নিভৃতে একাকি নিঃসঙ্গে
যখন সেই দিন গুলির জীবন পাতায়
চোখ বুলায় , তখন বড্ড অবাক লাগে
'কে আমি' ?' আর কি আমি' ?
জীবনের প্রতিটি পরতে পরতে
জীবন বাগান সাজানোর অপরূপ বিন্যাস
বুনতে গিয়ে খেলাম কত হুছুট ,
খেলাম কত ধাক্কা
আর কত পড়ার টেবিলে রাত জাগতাম
কথায় কথায় অতিরিক্ত হাসতাম বলে
মায়ের বকুনি ,আর প্রতিদিনকার কমান্ড
'অবুঝ মেয়ে কোথাকার' .............
বড্ড হাসি পাচ্ছে আবার ও হি হি হি..
আজ কেন জানি সেই পিছনের দিন সমূহ
বারংবার নাড়া দিচ্ছে.......মন মন্দিরে ।

১১.০১.২০১২
---------অপেক্ষা
রুম্পা শিমুল
আমি বিবর্ণ নিস্তেজ অবচেতনের আঁধারে দাঁড়িয়ে
কোন এক ক্ষণে আগুন্তুক পথিকের প্রত্তাশায়
স্তিতিশীল বাড়ির উপর আঙ্গিনায় ।
হিমেল হাওয়া আর কনকনে শীতের প্রসরায়
অনুভুতির উপহাসে লোম গুলু যেন তালের মাতাল,
আর অধরে যেন ভুমিকম্পের আবাস
কেবল ঠক ঠক করছেই তো করছে ,
অচেনা সময়ের বাজারে আমি যেন এক নতুন ক্রেতা।
অপেক্ষার প্রহরে যখন লেগেছে গ্রহণ
তখন আর রাত জাগা ভাল লাগছিল না
পায়চারি করলাম কিছু টা ক্ষণ
মধ্য আকাশে এক জোড়া তারা যুগল
স্বপ্নের নীল নকশা সাঁজাছে দেখে
নিজে কে আজ যেন বেমানান লাগছে
সময়ের পরিপাশ্বে
নিঃসঙ্গতার পাশবিকতায় .....।
....৩০.১২.২০১১

তুনি নেই বলে
শিমুল শুভ্র
তুনি নেই বলে...
আমার প্রভাতের সূর্য টা যেন
তার রুপের ছটা সাজিয়ে
আর সাঁজে না,
ভোরের আকাশের উষ্ণ হাওয়া ও যেন
আর শিরশিরে বহে না ।

তুমি নেই বলে...
আমার তানপুরা টা ও যেন
তার সুরালি সুরে
সুর আর ধরে না,
মনের মত বাঁশরী টা ও যেন
আর কেঁদে কাঁদায় না ।

তুমি নেই বলে......
আমার দু'চোখে যেনে
বাঁধা মানে না
প্লাবনে প্লাবনে আর ভাসে না,
আঁখিকোণে জমানো যত সব অশ্রুর ঢল
কালো ক্ষত ও যেন শুকাই না ।
তুমি নেই বলে...................
খসড়াঃ-২৮.১২.২০১১

____স্বপ্ন
রুম্পা শিমুল
এই বিশাল মন রাজ্যের
ভাঙ্গা কুঠিরে,
দিলাম তোমায় আমন্ত্রন
ছায়া নই প্রতিছ্ববি
জীবন প্রহসন ।
আসুক না ঝড় আসুক না ঝঞ্চা
ক্ষতি কি তাতে বল ?
তুমি হে সখা প্রেমানন্দ
তুমি মোর জীবনাঙ্গ ।
আকাশের বুকে সেঁজেছে কত
সাত রঙ্গের প্রসরা
জীবনের যত নীল নকশা্
জীবনের সব প্রত্যাশা ।
স্বপ্নের ঘহিনে স্বপ্নের বেড়াজালে
রবে তুমি আম্লিন,
সাজাবো এক সোনালি নীড়
স্বপ্ন করব রঙ্গিন ।
খসড়াঃ-২৮.১২.২০১১

____আশা
রুম্পা শিমুল
জীবনের স্বাধ কভু পুরাবার নয়
যত চাওয়া পাওয়া আর সব সম্মনয় ।
চাওয়ার আকাঙ্কা যেমন সুমুদ্র সমান
বিলাসিতার ভূ-খণ্ডে তার জৈবিক প্রমাণ ।
আশার বুকে বাসা বাঁধা
অব্যাক্ত আবেগ সর্বনাশা
জীবনের জীবদ্দশা
ভালোবাসা ভালোবাসা ।
অন্তরঙ্গ আলাপন
জীবন সংগ্রাম এর সঙ্গী যে জন
কথার উপর উষ্ণ ঘি মন্থন
আবেগ নয় এ তো বাস্তব সংকলন ।
আশাঢ় শ্রাবণ যেমন বারিশ ঝড়ে
জীবনের স্বাধ তেমন না পুরাবার তরে ।
আশার শেষ সীমানা
কে জানে তার ঠিকানা
তবে কি বলব ?
জীবন টা নয় পুরু ষোল আনা


০০০০০০০০০০০০
-----------অনন্যা
রুম্পা শিমুল

অনন্যার সুখের সুমুদ্র আজ শুকিয়ে গেছে
জীবনের কল্পনা মনে হচ্ছে যেন নিস্প্রান হয়ে গেছে্
ব্যার্থ ভালবাসার নিষ্ঠুর বিভিষিকায় কষাল আঘাতে
মন টা যেন আজ পুড়ে ছাই ।
ভালবাসার উষ্ণ সুখের ব্যার্থতার তিব্র দুখের
দু-মোহনার শেষান্তে আজ অনন্যা দাঁড়িয়ে
এক লক্ষ ভ্রষ্ট রমণী ।
অনন্ত সুখের সন্ধানে মনের মত মন বন্ধনে
দুটি মনের মন বন্দরে মন বেঁধেছিল দু' জনে
আজ তা কেন নিস্বেষ করলে
প্রাপ্ত সুখের অভিসারে ?
সুখের তরী হাওয়ায় উড়ে কষ্টের ভারী তরী জলে
আদৌ কভু জাগন্ত নিশিতে মন ফ্যাল ফ্যাল করে কাঁদে ।
গুমরে গুমরে কেঁদে চোখের কোনায়
কালো মেঘ জমেছে ভারী
প্রাপ্ত ভালোবাসাই অ-প্রাপ্ত ব্যার্থতা
জীবনের লাইন গুলু করেছে জারি সারি।
......২৪.১২.২০১১

রুম্পা শিমুল

অসমাপ্ত কথোপকথনে
জীবনের স্বপ্ন ক্ষণে
কষ্টের প্রবল ভর্শনে
ভরষার অঝর শ্রাবণে
আজ আমি এক কাল মেঘ ।

পূবালী হাওয়া ,পশ্চিমা কালোর কালিমা
কোথায় ঝরাবে জল আমি জানি না ।
পিছে ফেলা জীবনের প্রতিটা পাতায়
মনের কালিতে লিখেছি সেথায়
অবসরে অভিসারে সাঁজাবো বাঁগান
গেয়ে যাব জীবনের সুখেরি জয় গান ।

আজ কেন খসে গেল ঝি-ঝি বিহীন জোছনায়
একটি তারা !!!
মনের সীমানাই মিম্ময় গ্লানীতে মরুর প্রান্তরে
আমি যে পথ দিশেহারা ।

ফুল বিহীন বাগিচা শুকনো খড়ের সমান
সু-সম্পর্ক বিহীন মনকুঞ্জ অসার জীবন ।
ছোট কিছু আশা আর জীবন পিপাসা
ছলনা নয় এ যে এক জীবন জিজ্ঞাসা ?
২২/১২/২০১১

রুম্পা শিমুল
এক দিন বিকেল বেলা
পেলাম আমি ইণ্টারনেটে ফেইসবুক নামক
friends ship মেলা ।

ফেইসবুক এরি পরিচয় ক্ষনে
দিলাম বায়োডাটা সংক্ষেপনে
রেজিট্রি করলাম ঐ লগনে ।
অতঃপর
ভাবলাম আমি বসে বসে
যাব কি মিশে অচেনা অজানা দেশে
নিবে কি সবায় আমায় বন্দু ভেসে
কত রঙ্গের কত ভাবনা
এলো তখন আমার মনে ।
আজ
ফেসবুকের এ অসার সাগরে
ভাসতে ভাসতে যায় ক্লান্ত হয়ে
চোখে মুখে ফাসিনা বসে
ছ্যাটিং এর ভারিষ ঝড়ে
মুষুল ধারে একনাগাড়ে ।

ছ্যাটিং এর রিপ্লায় না পেয়ে
ক্ষুদ্দ হয়ে নোংরা পিক ছুড়ে মারে
আমার ওয়ালে ।
এ কেমন অসভ্যতা ?
এ কেমন ভদ্রতা ?
বলবেন কি আমার friend's সবে ???????????
..........২৬/১১/২০১১

এক দিন তুমি বলেছিলে
রুম্পা শিমুল

অনন্যা তুমি কি ভোরের ভেজা কুয়াশায়
আবৃত স্নিগদ শিশির?
নাকি সদ্য ফোঁটা রজনীগন্দায় হলুদ
প্রজাপতির ক্লান্ত সকাল ।

তুমি কি ঐ পাহাড়ের চুড়ার নৈস্বগীক সৌন্দয্য ?
যেথায় আছে শোভায় শোভায় বণিল সমারহে
পাহাড়ের অপার সুন্দরের উপস্বগ ?
নাকি ঐ উছু চুড়া থেকে গড়িয়ে পড়া
পাহাড়ের আঁখির স্রোতের জল ?

অনন্যা তুমি কি ঐ নীলাকাশ ?
যেখানে মেঘেরা খেলা করে ছলনার ছলে
কখনো বা সাদা কখনো বা ঘন কালো মেঘ
কখনো বা অশ্রু ঝরানো বরষার ভেলা ।
কখনো বা রংধনুর সাত রং এ সাঁজানো
সুন্দরের মেলা ।

অনন্যা নাকি তুমি এ পাড়ে সাগর
ও পাড়ে সমুদ্র ..
মাঝখানে তুমি মোহনা ?
আসলে অনন্যা তুমি-ই তোমার
নিজের তুলনা ।
------------------------------
----------কষ্ট
রুম্পা শিমুল

মনের মণিকোঠাই কেবল
কষ্টের দাবানল
কবে আসবে ফিরে সখা আমার
জিবনের প্রভানল ।
একাত্তরে ধরে ছিল হাতে
বাঁশ, লাঠি্‌ ,আর গুলি
দেশ বাঁচাবে স্বাধীন করবে
আমাদের জন্ম ভুমি ।
মুজিব ডেকেছিল ওরে
কই রে সনদ
আয় জলদি আয়
বাংলাদেশ স্বাধীন করবো
খাই আর না খাই ।
নয় মাস কেটে গেলো
পূর্ব আকাশে স্বাধীনতার সূর্য্য হাসলো
জিয়াউর রহমান ঘোসনা দিল
বাংলাদেশ পাক বাহিনী ত্থেকে মুক্তি পেল
বাংলাদেশ স্বাধীন হল
জয় বাংলা _____________।
আহ্...........
সেই যে গেল ফিরল না সখা
জিবনের চল্লিশ টা বছরে ও
গুমরে গুমরে একাকিত্বে
প্রান যেন হারাল সেলে ।
খসডাঃ---১৯.১২.২০১১

যদের জন্য পাওয়া স্বাধীনতা
রুম্পা শিমুল
যাঁরা একাত্তর এ জীবন দিয়েছেন দেশের জন্য
তাঁরা জন্মে ও বাংলার মাটিতে মাটি হল ধন্য ।
যারা বাবা , ভাই হারিয়েছেন স্বাধীনতার জন্য
তাদের তুলনাই আমি অতিব নগণ্য ।
যে মা বোনেরা হারিয়েছে্ন তাদের সভ্রম
তাঁদের পদতলে জানাই আমার সহস্র প্রন্নাম ।
যে নববধু তার হারিয়েছেন স্বামী
সেই বুজে তার স্বামী কত দামি
পরিণয়ের তৃতীয় দিনে দেশমাতৃকার টানে
কেড়ে নিল তার সিঁদুরের চাবিখানি
কি করে সান্ত্বনা দিব আমি তাকে
ভুলে গেছি কথার খনি ।
যে প্রভাতে উঠেছিল বিজয় এর সূর্য
আলোর আল্পনায় এঁকে ছিল পূর্ব দিগন্ত
ছারিদিকে হৈ-হৈ রৈ রৈ বিজয়
উল্লাসে মন হল প্রসন্ন
হে বীর মুক্তিবাহিনী
তোমাদের অবদানে তোমাদের কল্লানে
জন্মে ও আমি বাংলার বুকে হলাম ধন্য ।
খসড়াঃ--১৭/১২/২০১১


....প্রতিক্ষার কষ্ট
.....শিমুল শুভ্র
অন্তরে আনেক ক্ষত বিঁধে আছে
যন্ত্রণার অসয্য সাগরে
নৌকা প্রায় ডুবু ডুবু
ভাসমান উপত্তকায় কূলে
ফেরার প্রচেস্টা মাত্র ।
ঝরনার অভিরাম ক্রন্দন
লোনা ,মিঠা পানির মিশ্রনে
পদতল যেন শুভ্রতায় ধুষর
বিশালতার এক অপার হাতছানি
অন্তরে অতৃপ্ত চাওয়া
আজ যেন পুরে ছারখার ।
কষ্টের তিব্রতাই পোড়া মাটি ও
যেন পুড়ে লাল টকটকে রং এর
আভরন মেখে সেঁজেছে গায়ে
একটু পরে হয়তবা হবে গাড়ো নীল
কষ্টের রং ।
একাত্তর গেল চল্লিশ বছর হলো
তবু ও বাবা ফিরে না এল.
অপেক্ষাই, আক্ষেপে জননী
আমার আজ বড্ড উন্মাদ
বাবা ফিরবেন বলে
দরজা টি খোলা রেখে পাহাড়ায় ।
খসড়াঃ-১৮.১২.২০১১

অবাক সমীকরণ
রুম্পা শিমুল
দরজায় ঠক ঠক আওয়াজ
এ বুঝি সদ্য শুভ পরিরনয়ের
পরিনিতার স্বামী এলো বলে .......

উৎপুল্ল বদনে স্বামী সোহাগের
সোহাগিনী নব বধু দরজার
খিলি মেলে দিল ।
কিন্তু বিধি বাম !!!!!!!!!!
দরজার অভিমুখে দাঁড়ানো
টলটলে লিকলিকে গোটা কয়েক
পাকিশ্তানি হানাদার আর
অদূরে দাঁড়ানো অএ গ্রামের
তায়ের মোল্লা........
তাদের মখায়বে হিংস্রতা আর নোংরা হাসির উপঢৌকন ।

নববধু কিংকতব্যবিমুড় হয়ে
দরজার খিলি এঁটে দিতে যখন ব্যস্ত
পাক বাহিনী লম্বা পাদুকার আঘাতে
দরজা ভেঙ্গে চৌচির ।
অসহায় নববধু আত্নরক্ষার কুস্তিতে
যখন লিপ্ত তখন লাপাত্তা বাহিনী প্রবল
হুংকারে বিপযাস্ত সমীজ্ঞান নবনিতা ।

সাপ্তাহ খানেক পর যখন
বাড়ির আঙ্গিনায় ছুরে ফেলে গেল
নববধুর প্রানপাখি তখন যায় যায়
সম্ভ্রম হারানোর প্রবল আত্ননাদ আর
ভাষাহীন অত্যচারের মধ্যস্তে
এ যেন এক ৭১ এর
অবাক সমীকরন ???
আদৌ কি বাংলার স্বাধীনরাজ্যে তায়ের মোল্লারা...... ঘুরে বেড়াবে ????????????
৫/১২/২০১১

রুম্পা শিমুল
সে-দিন প্রভাতে লাল সুরুজ টি
এমন ভাবে আলো ছড়িয়ে ছিল
যার আভা তে পুরো বঙ্গ যেন
খুশির মাতালে মাতোয়ারা
উজ্জল সাত রঙ্গে ছএহারা
খুশির বন্যায় বঙ্গমাতা দিশেহারা
দিন টি ছিল এমন বঙ্গবাসীর বঙ্গবানী
ফিরে পাবার দিন ।
সে-দিন প্রভাতে দেশমাতৃকার ডাকে
ছুটে যাওয়া সন্তানের ঘরে ফেরার
আশায় জন্মধাএী ছলছল নয়নে
আনন্দঅশ্রু মিশ্রনে অন্ন সাঁজিয়ে
ফেরার প্রহর গুনা কখন আসবে
আমার খোকা ?কখন আসবে ?
দিন টি ছিলএমন অধিকার ছিনিয়ে আনার দিন ।
সে-দিন প্রভাতে সদ্য ভুমিতে পড়া
নবযাতক শিশুটির হাসি টা ও ছিল যেন
অসুর বধের এক ভয়ানক মুক্তঝরা হাসি
যার সন্দৌয্যতায় গোটা বাংলা
জয় বাংলা জয় স্লোগানের জরে জলছে ।
দিন টি ছিল এমন এক সাগর রক্তের ফসল ।
সে-দিন প্রভাত টা ও ছিল নব পরিণয়ের
বন্দনে বন্দনী নববধুর নতুন
স্বপ্নের বাগানে স্বাধীন সংসার
সাঁজানো মানচিএে আঁকা মায়াবী
আঁখী যুগল এ জীবন সাথী
ফেরার আশার পায়চারি ।
দিন টি ছিল এমন ১৬ ডিসেম্বর
মহান বিজয় দিবস
অধিকার আদায়ের দিন ।

রুম্পা শিমুল
আমি এক অবুঝ মেয়ে
স্বাধীনতাযোদ্ধের আমি কি বুঝি ?
তবু ও দু-পাতা পড়তে ইচ্চা করে
ছন্দের ছন্দ সাঁজিয়ে বীর বাহিনীদের
দুঃখ টা কে সংরক্ষন করে কাব্য গড়তে
ইচ্চা করে ।
আমি এক অবুজ মেয়ে
মুক্তিযোদ্ধের আমি কি বুঝি
তবু ও নয় মাসের করাল গ্রাসী
কাল দিন গুলুর কালো
আবরনের কাঁপা কাঁপা কশটে
কাটানো ক্ষন গুলি ইতিহাসের
পাতায় চোখ বুলিয়ে অনুভব করি
উপঃ কী হাহাকার ............

আমি এক অবুজ মেয়ে
৭১ এর কাল দিন গুলুর ইতিহাস
বণ্ণণ বিন্যাসে আমি কি করে
সাহস করি ?
তবু ও রক্তঝরা বাংলা ভাষার
অমায়িক কথার রাজ্যে
ভসে ভেসে ভাসতে ইচ্চা করে ।
১০.১২.২০১১

রুম্পা শিমুল
খোকা আসছে.........খোকা আসছে.........
এ কোন এক বিধবার অশ্রু
ঝলসানো চোখের করুন আকুতি
বিলাপের সুর, গচ্চিত ভালোবাসা
বুকে চেপে রাখা এক বঙ্গ জননীর
শত আশা বুকে বাঁসা বাঁধা পুএ ফেরার
পানে অপলক দৃস্টি
খোকা ফিরবে.....খোকা ফিরবে....
স্বাধীন করে বাংলাদেশ ।

বাবা আসছে.......বাবা আসছে.......
এ কোন এক পিতৃহারা অবুজ মেয়ের
খেলার ছলে কন্নার ঝড়
জন্ম অবধি বাবা কে না দেখার
হাহাকারে তার ছেরা বীণার বেতাল সুর
ফাঁটা তবলার বেতাল লয়
ছন্দ বিহীন গানের বি-মাএা সুর ।
বাবা আসবে.....বাবা আসবে.....
স্বাধীন করে বাংলাদেশ

প্রানসখা আসছে....প্রানসখা আসছে....
এ কোন এক সঙ্গ বিহীন
জীবন সঙ্গীনির একাকিত্বের
ভালবাসার আঁচল পাঁতা প্রসরা
উষ্ণ ভালবাসায় নিংড়ানো
লোভনীয় আবেগের হাঁট
আলতো আলতো ছোঁয়া
মিস্টি মিস্টি কথার উপর কথন
চেয়ে চেয়ে থাকার উপঢৌকন
অতৃপ্ত বাসনা পুরন এ যেন
পাগল করা হাহাকার ।
প্রানসখা আসবে.......প্রানসখা আসবে.......
স্বাধীন করে বাংলাদেশ ।
--------------------------------

রুম্পা শিমুল
সেই দিন ক্ষুদ্র ঘাস ফড়িং টা ও
স্বাধীনতার সপ্ন দেখেছিল
কিন্তু জাত শএু হানাদার বাহিনীরা
মেশিন গানের অবাদ গুলিতে
বাংলার দামাল দের সাথে
দুব্বা ঘাস গুলু ও পুড়ে খান,
কেড়ে নিল শত শত মনুষ্যসহ
কীট-পতঙ্গের অসহায় প্রান ।

সেই দিন বনের পাখী গুলু ও
স্বাধীনতার সপ্ন দেখেছিল
মনের সুরে সময়ের রঙ্গে
আপন ভাষায় গীত রচনা করছিল
কিন্তু পাকিশ্তানি লাপাট্টা বাহিনীর
নৈশ ভোজের উপকরণ এর লক্ষে
গুলাইল এর গুলি তে ক্ষত-বক্ষত
হয়ে পড়তে হল ভূমিতে ।

সেই দিন বনের সোনার হরিন গুলু ও
স্বাধীনতার সপ্ন দেখেছিল
বন্যরা বনের সৌন্দয্যে নিজেকে
উপ্সথাপন করবে বলে
কিন্তু পাক বাহিনী মধাহ্ন
ভোজের উপকরণ এর লক্ষে
ঠক ঠক গুলির আাঘাতে
কিংকতব্যবিমুড় ।

আদৌ কি আমরা বাংলার স্বাধীনরাজ্যে
আমরা স্বাধীন ??????????????
........৪/১২/২০১১

রুম্পা শিমুল
সৎ সংঙ্গ স্বর্গ রঙ্গ
অসৎ সংঙ্গ জীবনের লক্ষ ভঙ্গ
জীবনের জীবিকা অঙ্গন
চাওয়া আর পাওয়ার পরিভ্রমন
লোভাষ্ণু জিব্বার লালসা বজ্জন
তবে মিলবে সুখেরি মন্তণ ।

জীবনের সুখের প্রদীপ
সু-সংঙ্গের মাইলপলক
পাওয়ার আকাঙ্কায় মসৃন
সপ্ত রংঙ্গের রংধনুর ঝলক ।

মনআশার মনের অবাদ ভঙ্গিমা
চাঁদনী রাতের শুভ্র চন্দ্রিমা
সুস্ত মস্তিকের বিচরণতা
জীবনের সুখের সখিনতা
তবু ও যেন অপুন্নতা
সমীকরন অসঙ্গতা
সুখের সঙ্গ খোঁজা
সৎ-অসৎ এর রঙ্গ বুঝা ।

জীবন তো নয় চন্দ্রবিন্দু
পর ঘাড়ে বসে বানায় বন্দু
জয় করবে বিষাদ সিন্দু
সাঁজাবো সুখের মহাসিন্দু ।
০১/১২/২০১১
বিঃদ্রঃ- নতুন মাসের নব উপহার Plz সৎ-অসৎ এর রঙ্গ বুঝে জীবন সাঁজাবেন ।

রুম্পা শিমুল
আমি বাংলার জাতীয় পতাকা দেখছি
কিন্তু দুঃখ !!পাক বাহিনীদের হাত থেকে
ছিনিয়ে আনা দেখিনি কেবল অনুভব
করছি এক সাগর রক্তে অজ্জিত
এই লাল সবুজের নিশান ।

আমি বাংলার দামাল ছেলেদের
বীরত্বের গল্প শুনেছি কিন্তু
হায়েনার গুলিতে ঠর ঠর আওয়াজে
কতক নিস্পাপ দামাল এর
আকালে ঝরে যাওয়া দেখিনি
কেবল অনুভব করছি
দুঃখ !! দু-কলম লিখতে পারিনি ।

আমি বাংলার বীর বিরঙ্গনা মায়েদের
অভিরাম অত্যচারের অসয্য যাতনার
প্রলাপ কান্নার রোলে রোলিত হতে শুনেছি
কিন্তু দুঃখ!! তখন তাদের শান্তনার বাক্য
শুনাতে আমি আর্বিভাব হতে পারিনি ।

আমি নজরুলের কলমের কালিতে
কবিতার ছন্দে, সুরের গীতালিতে
অস্র ধরতে, পাক সেনাদের
হাতে বন্দী হতে দেখিনি
কেবল ইতিহাস এ পড়েছি
কিন্তু দুঃখ !! নজরুলের ছয়
মাসের কারা ভোগের ক্ষনে
আমি দু-কলম লিখে
তাঁর সহযোদ্দা হতে পারিনি ।
২/১২/২০১১


রুম্পা শিমুল
মন তুই আসলে কী ?
চল্লিস সের এ মণ
নাকি অন্য কিছু ?
নাকি ছাওয়া আর পাওয়ার
এক বিশাল জলসুমদ্র ?
যার কোন পরিসীমা নেই
প্রকৃতির ইশারায় যখন যা মনে আসলো
তখন তা করে বসল ।

মন তুই আসলে কী ?
এত চঞ্চলতা তোর
এত অস্তিরতা,
ছাওয়া পাওয়ার
অসীম লোভ লালসা
সব নিজের করে নেওয়ার মনাশা ।

মন তুই আসলে কী ?
কেন তুই আকাশের বিঝিলি,
বৈদ্যুতিক সারকিট সট
এই এখানে, এই সেখান,
এই ওখানে ।
এ রকম কেমন তোর মনন,চলন,বলন, ধরন
এ কেমন চরিএ ?
মন তুই আসলে কী ?
তুই আসলে কী ?
আসলে কী ?
কী ? কী ? কী ?==========
==============

রুম্পা শিমুল
মা-মাগো..............
আমি প্রথম যে দিন যেই ক্ষনে এ ভবে
এসে -ই কাঁদছিলাম ....
তখন জননী আমার শত কস্টের
তীব্র প্রসব যনএনার সাগরের মাঝে ও
হাঁসছিলেন আমায় বুকে পেয়ে ।

ভুলে গেছেন যেন তাঁর সমস্ত কস্টের কস্টকাব্য
দশ মাস দশ দিনের পাহাড়সম
প্রতিক্ষার প্রহর যেন মাটি হয়ে গেছে
আমার এক টুকরো অবুজ হাসি তে ।

আমি যখন হামাগুড়ি দিতে গিয়ে
নিমিষে ভূতলে লুটে পড়ি ক্ষনে ক্ষনে
তখন জন্মধাএী আড়ালে হেঁসেছেন
সুখের হাসির রনাঙ্গণে ।

যখন অ,আ, পড়তে শিখেছি
তখন মাতৃ দেবী সপ্নের সুতায়
সপ্ন বুনতেন দু-কলম লিখার
লেখিকা হবো বলে ।

মা-মাগো কোন সুতার সপ্ন
আর কোন কলমের কালীর আঁচড়ে
সাঁজাবো কাব্য আমি যে একটি
...২৭/১১/২০১১



=========================

মিতৃতা
রুম্পা শিমুল
আলো একদা আধাঁর কে
ডেকে বলল
এই তোর রুপ এত কালো
কেন রে ?
আলো নিজুব হয়ে রইলো
আলো ফের বলল
জানি তুই তো জন্ম থেকে কালো
যেন চন্দ্র বিন্দু।।
এবার কালো বলে উঠল আচ্চা
তুই বলতো
তুই এমন আলো কেন রে ?
আলো তখন হেঁসে বলে উঠল
আরে !!! এ ওজানিস না ???
আমি আমার আলোকছটা দিয়ে সারা পৃথিবী
আলোকিত করি বলে ।
এবার আধাঁর হেঁসে বলল
আরে!!!বোকা এ ওজানিস না ???
তোর সারা দিনের আলোকঝঞ্চা ক্লান্ত পৃথিবী টা
আমার বুকে আশ্রয় খুঁজলে
রাতআঁধারের মাঝে তার মুখ লুকালে
শান্তি পায় জগত সারা ।।
১৮/১১/২০১১
=================
মন টা বড় ব্যাকুল মাগো
শিমুল শুভ্র
মন টা বড় ব্যাকুল মাগো
আজ কতো দিন হল তোমায় দেখি না
তোমার হস্তের তৃপ্তিকর খাবার খাই না
তোমর কোন টোন শুনি না ।
তোমর কোন হাসি মাখা বদন খানি দেখি না ।

মন টা বড় ব্যাকুল মাগো
তোমার কোলে মুখ লুকিয়ে নিদ্রা যাপন হয় না
ছোট্র বেলার সেই গল্প গুলু আর পুনরাবৃতি হয় না
তোমার কোন কোমল আদর পাই না ।

মন টা বড় ব্যাকুল মাগো
তোমার প্রতিছবি যখন আমার আঁখি যুগল এ ভাসে
প্রবাস জীবন তখন ধু-ধূ বালি চরের ন্যায় মনে আসে
মনে চাই এখনি দিই ভো দৌড় ..........

মন টা বড় ব্যাকুল মাগো
যখন কিনা এক রাএের ঘরে আমার এবচেঞ্জ
তুমি উম্নাদ হয়ে যেতে সেখানে আজ
সাড়ে তিন বছর পড়ে আছি মাগো তোমায় ছেড়ে
বড় কসট মাগো বড় কসট
মন টা বড় ব্যাকুল মাগো........

============

সম্পর্ক.............
রুম্পা শিমুল

সম্পর্ক এই তো অনুভব
দু-জন দু জনের
নয় তো কাঁচের টুকরা
পড়ে গেলো ভেঙ্গে গেলো
সম্পর্ক.................
সম্পর্ক এই তো নিভিড়তা
দু-জন দু-জনের
নয়তো কাগজ যে
ইচ্চা হল ছিরে ফেলার মত ।
সম্পর্ক.........
এই তো ভালোবাসা
দু-জন দু-জনের
নয় তো পাথরের প্রচীর যে
হাতুড়ির আঘাতে ঝরে পড়বে ।
সম্পর্ক.........
এই তো উষ্ণ ছোঁয়া
দু-জন দু-জনের
নয় তো টাকার মত যে
হাত বদলে বিনিময় হবে ।
সম্পর্ক.......
এই তো লোভ
দু-জন দু-জনের
নয় তো বিদ্রোহীতা
লোভের আশায় মনে লালসার বাসা বাঁধা ।
সম্পর্ক......
এই তো একাণ্টতা
নয় তো বহ্ণিঃপ্রকশতা
চিৎকার করে শুনাতে হবে সমুলে
এই তো মনে মনের ভাষা বুঝা
এই তো অনুভব, নিভিড়তা, ভালোবাসার
উষ্ণ ছোঁয়া, লোভ আর একাণ্টতা ।

রুম্পা শিমুল
আমি ফেসবুকে কবি হতে আসিনি যে
আপনাদের লাইনের পর লইন লিখে
স্বরচিত কবিতা আবৃতি করে শুনাবো
আমি সাহিত্যক অথবা লেখিকা হতে আসিনি যে
আপনাদের লিখে সাহিত্য কথা শুনাব ।
আমি বংলাভাষার ভাষানী হতে আসিনি যে
আপনাদের ভাষার রাজ্যে ভাঁসাতে নিয়ে যাবো ।
আমি একটি অতি সাধারন অবুজ মেয়ে
এসেছি আমি......
www facebook.com এর উম্নুত্ত friendship
এর উত্তাল সাগরে ভাঁসতে ।।
অজানা অচেনার বাজারে
নিজে কে তুলে ধরতে ।।।
...১৫/১১/২০১

রুম্পা শিমুল
হৃদয়ে রক্ত ক্ষরণ
সে তো বড় কষ্টের
তার অপসারণ টা ও
জীবন বড় নষ্টের
সম্পর্কের সূএে
সে তো দু-জন দু-জনের
এক ভুবনে হারিয়ে যাওয়া
দু-টি মন এক মনে একাকার
হয়ে যাওয়া
উষ্ণ সূখের অভিধানে
নতুন সমরাজ্য গড়া ।
তবে কেন এ রক্ত ক্ষরণ
ভালোবাসায়.............??????????
১৬/১১/২০১১

রুম্পা শিমুল
................আমার অনেক ইচ্চা...................
আমার অনেক ইচ্চা কত গুলো বন্নমালা একত্ত্র করে
লাইনের পর লাইন সাঁজিয়ে ভাষার গভীরতার সম্বারে
ছন্দ ছন্দের সন্দিক্ষনে ভাসার আসর সাঁজাতে
কিন্তু তা আমি অপারক কিছু পাঠকের বাজে কমাণ্ড এর প্রেক্ষিতে।
...............আমার অনেক ইচ্চা...................
ফেইসবুকের Wall এ দাঁডিয়ে চিৎকার করে
সব্বাই কে স্বরচিত কবিতা আবৃতি করে শুনাতে
মনে জমাট বাঁধা কাব্য ভাষার স্বরে
কিন্তু তা আমি অপারক আমার স্ব টোনে কেউ শুনছেনা বলে ।
............আমার অনেক ইচ্চা...................
ফেইসবুকের friends list দাঁড়িয়ে সব্বাই কে
friendship এর জন্য দু হাত বাড়িয়ে দিতে
Available to chat অপশন উন্মুক্ত রাখতে ।
কিন্তু তা আমি অপারক ফেইক id আর অতিরিত্ত ছ্যাট এর রিপ্লায় দিতে অক্ষম বলে ।
.............আমার অনেক ইচ্চা...................
ফেইসবুকের Photos এ দাঁড়িয়ে
শত শত পিক বিভিন্ন ভঙ্গিমায় ক্যমেরায় এনে
আপলোড় করতে ফেইসবুকের এলবাম এর পাতায় সৌন্দয্য বড়াতে
কিন্তু তা আমি অপারক ট্যাগ করে নিয়ে ফেইক id হচ্চে বলে ।
বড় দুঃখ এ মনে ...................


=============
রুম্পা শিমুল
মন-সমুদ্রের বিশাল প্লাবণে
ভাসিয়ে ছিলাম মনের মনড়িঙ্গা
ভাঁসার মাঝে ভেসে যাবো
হয় যদি অমন কোন সন্দা ।
তোমার মশাল এর অনুস্বরনে
এগিয়ে যাব এক বৈঠা দু-বৈঠা ফেলে
নঙ্গর করব তোমার মনের মনবন্দরে
যদি রাখ দু-হাত মেলে ।

ভেসে যাব সেই অসার সুমুদ্রে
যেথায় থাকবেনা কোন কূল
ভালবাসায় হারিয়ে যাব
হবে না কোন ভুল ।

ভালোবাসার তৃপ্ততা আর সখিনতা বুঝাব,
বুঝবো তখন দু-জনে
সুখের সুমুদ্রে স্মান করব তব
অম্লান এ ভুবনে ।
.১২/১১/২০১১

সাগরিকা
সাগরিকা আত্নহরন নয় ,আত্নহত্যা করবো
বলেছিলে তুমি এক লগনে আমায়
যদি না তোমায় পায় ।
তখন পাখীরা নীড়ে ফিরছিলো
আকাশ টা আলোর ছটা বিয়োগে
কালোর ছটা গ্রাস করছিলো
তোমার হস্তের সোনালী পশম গুলি
তোমার সোনালী রংঙ্গে হারিয়ে যাচ্চিল
কালোর আভাসে ।
দু জনে দুজনের ঠোঁটের আঁড়ালে
লুকানো শু্ভ্র দাঁতগুলি
কেবল সাদার শোভায় ভাঁসছিল
সে কী তুমি ভুলে গেলে ?
সাগরিকা
ভুলবো না কভু তব মনে রাখবো দু জনে
বলেছিলে তুমি এক লগনে আমায়
তখন প্রকৃতি ছিল নীরব নিঝুম
লোক লোকারন্যের কোন পাওা নাই ।
অছেনা অজানা পৃথিবীর নিশ্চুপ
পরিবেশে ঝি ঝি পোকা গুলু
কেবল ঝিলিক বাতি জালিয়ে উড়ে বেড়াচ্চে
সে সব সৃতি কি সব ভুলে গেলে সাগরিকা ????????


===========
রুম্পা শিমুল

মনের মনকাণ্ডারীতে
তোমায় সাঁজিয়েছি সখা
অতীব যতন করে,
ভাঙ্গা ডেউ নয়
বিশাল সৈকতের
যোজন যোজন জলরাশি
মায়ায় ভরা
শুভ্র ঘন কুয়াশার
প্রলেপ মাখা
রক্তিম সুযের অস্তিত্তের মত।
নয় বিলাসিতা
নয় সখীনতা
নয় চাওয়া পাওয়ার অপূণ্ণ ভাণ্ডার
সল্প তে তুশট আমি
যদি ই বা থাকে তোমার
ভালোবাসার অপার সম্বার ।
১০/১১/২০১১