এসেছিল আস্তাকুঁড়ের আবর্জনাকে সাথী করে,
অপাংক্তেয় শিরোপায় মোড়া ধূসর ভবিষ্যতের হাতছানিতে,
ছেলেটা যে বাস্তবের ঘরে আলো দেখেনি বসুন্ধরার।
কারোর মিথ্যে ভালোবাসার ছোট্ট উপহার ছেলেটা!
প্রেম ভালোবাসার ফিকে রঙের নিদর্শন ছেলেটার রক্তে!
জীবনের হোঁচট খাওয়ার প্রস্ফুটিত ফল সে।
অবশেষে জুটেছিল পথশিশু পরিচয়পত্র,
সমাজের উচ্ছিষ্ট খেয়ে বেড়ে ওঠার সিঁড়ি,
অভাবের দোরগোড়ায় জীবনকথা লেখা এক অনাথ।
বহু ঘাত-প্রতিঘাতে অভাগা শিরোনামে বেঁচেবর্তে থাকা,
ন্যূনতম দাবি করার অধিকারহীন এক শিশু।
সেই ছেলেটার উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ দেখতে নেই!
কী অপরাধ ছিল এক ফুটফুটে নিষ্পাপ প্রাণের?
ধরিত্রীর আলো দেখতে এসে আঁধারের কুঠুরিতে।
সে-ও তো মানুষের পরিচয়ে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ জীব!
কেন সমাজের সামাজিক দায়বদ্ধতা থাকবে না?
কেন একটি প্রস্ফুটিত প্রাণকে আবর্জনায় নিক্ষেপিত হতে হবে?
ছেলেটার রক্তে কেন পরিচয়পত্র লেখা হবে না?
এর দায় ও দায়িত্ব এড়াতে পারলেই সুখী,
নিজেদের ভালোবাসার সংস্কৃতিতে কেন ভুগবে অবুঝ শিশু?
আর কবে ভাববে, নামগোত্রহীন ছেলেদের পৃথিবীর আলো না দেখাই ভালো!