মনের ধনুষ্টঙ্কার হলে বাঁচবে কিভাবে?
ধনুকের মতো বাঁকা পথে হাঁটবে সবাই,
তীরের ফলার মতো বিঁধবে এফোঁড় ওফোঁড়!
তুমি রক্তাক্ত হলে পুরুষত্বের প্রমাণ নিশ্চিত হবে,
তুমি যে পর্দানসীন অবলা নারী!
তাই তো খাটাই সকল জারিজুরি।
যায় যাক খাদের কিনারে দুঃখ নদীর অভিযান-
আর কতদিন ঝাপসা চোখে মেপে যাবে ভালোবাসার মানসম্মান?
সামাজিক দায়বদ্ধতার প্রতিমূর্তি হিসেবে আর কতদিন মেনে নেবে?
তৈমুরলঙেরা আজও বেঁচে আছে!
আজও ধর্ষিত, লুণ্ঠিত দেহ সভ্যতার ব্যভিচারে।
বিষবাষ্পের দংশনে লাশকাটা ঘরে প্রতীক্ষারত সন্তান,
শুধুই ভো কাট্টা একটি বিশেষ লিঙ্গ আলো-আঁধারির মুখোশে!
হতভাগ্য পিতামাতার হাহাকার হারিয়ে যায় অন্তরালের নীরবতায়,
প্রদীপের আলো জ্বালিয়ে দগ্ধতার যাপনচিত্র অন্তিমে।