আজ পালিত হচ্ছে মুক্ত দিবস- ৭১’এর এদিনই হয়েছিল মাগুরা মুক্ত
তাই মনে পড়ছে সেদিনের সেই কথাগুলো- মনে পড়ছে সেই যুদ্ধের কথা
যা শুনেছিলাম পিতার মুখে।
কল্পনাতে ৭১’এর এই দিনের কথা আজ খুব মনে পড়ছে
মনে পড়ছে সেদিনের সেই সন্তান হারা মায়ের আজাহারির কথা
মনে পড়ছে বোমার শব্দে কানফাটার আওয়াজ আর বারুদের গন্ধ
মনে পড়ছে রক্তে ভেজা কর্দমাক্ত সেই রাজপথের কথা
মনে পড়ছে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের কথা।
সেদিনের কথা মনে আসতেই চোখ ভিজে যায়- অশ্রু গড়িয়ে পড়ে দু’ফোটা
আজ আর হৃদয় কাঁদেনা- আজ মুক্ত দিবসের আনন্দে পথে বেড় হয় আনন্দ মিছিল
ঢাক আর সানায়ের আনন্দ সুর বাজিয়ে মেতে ওঠে এ প্রজন্মের যুবক
একটিই ধ্বনি যায় শোনা- মুক্ত হয়েছিল মাগুরা মুক্ত হয়েছিল সাধারণ মানুষ।
সেই মুক্তির স্বাদ আমি পাইনা-
এখনও ডাস্টবিনে পড়ে থাকে সদ্যজাত শিশু- রাস্তার পাশে পড়ে থাকে গলিত লাশ
যেন দুর্গন্ধে গেছে ছেয়ে আজ দেশ, তবে! তবে কি করে হলো মুক্ত
তবে কি করে হলো দেশ স্বাধীন- বলতে পারো?
আমি এখনও স্বাধীনতার স্বাদ পাইনা-
যদি স্বাধীনই হোত, তাহলে- ধর্ষিত যুবতীর কান্নায় ভারী হতো না পরিবেশ
তাই আজও মুক্ত হয়নি- তাই আজও হয়নি পাওয়া মুক্তির প্রকৃত স্বাদ।
আমাকে মুক্ত করো- আমি স্বাধীনতার স্বাদ পেতে চাই
সম্ভ্রম হারানো মা ও বোনেদের বিচার পেতে চাই।
আর ধিক্কার জানাতে চাই সেই সব রাজাকারদের-
যারা রাজাকার হয়েও এখনও এমাটিতেই- মুক্তিযোদ্ধা ভাতা করছে গ্রহন।
আমি এক সাধারণ মানুষ পারিনা করতে প্রতিবাদ
তাই নিজের ক্ষুরধার কলমের দ্বারা লিখে জানাতে চাই- প্রতিরোধ গড়ো হে যুবকদ্বয়
নির্মুল করো রাজকোষ খালি করা রাজাকার রূপী সেই নরপশুদের
যারা, এখনোও হয়নি শান্ত- স্বাধীন বাংলার স্বাদ নিয়ে খেলছে ছিনিমিনি
স্বাধীনতার ছেচল্লিশ বছর পরেও- যারা স্বাধীনতার স্বাদ, নিচ্ছে কেঁড়ে।
আমি সেই দিন হবো মুক্ত- যেদিন নির্মল বাতাসে নিতে পারবো স্বাধীনতার গন্ধ
যেদিন খরবের কাগজ হাতে নিয়ে দেখতে পাবোনা- ধর্ষিত বোনের আজাহারী
ঠিক সেদিনই পাবো সত্যিকারের মুক্তি ও স্বাধীনতার স্বাদ।
(ডিসেম্বর ০৭, ২০১৭)
দৃষ্টি আকর্ষণ- আমার এই লিখনি কোন ব্যক্তিকে উদ্দেশ্য করে লেখা নয়। আমি বাস্তবিক দৃশ্য দেখে, শুনে ও খররের কাগজ পাঠ করে লিখেছি। তবুও এই লিখনিতে যদি কারো ব্যক্তিস্বত্ত্বায় আঘাত হানে তবে নিজগুনে ক্ষমা প্রার্থনা করছি।