উঠোন ঝাড়– দেয় যে ভাই- চুল কি সে বাঁধেনা
হচ্ছে না তা? বাড়াবাড়ি- রাঁধতে গেলে রাধা সাজা।
বাবার আছে বড় দালান- শ্বশুর গড়ের মাঠ
উঠোন আছে অনেক বড়- মাঠ ভরা নেই পাট।
কথায় কথায় বলে বধু- কি ছিলনা কাছে
বলার আগেই পেতাম আমি- ইচ্ছা যত আছে।
শ্বশুরবাড়ী! মধুর হাড়ী- পুরোই মিছে কথা
রাঁধতে গেলে চুল বাঁধলে- খাচ্ছে শুধুই খোটা।
বাবাই ছিলাম অনেক সুখে- ক্যান যে করলাম বিয়ে
স্বামী ব্যাটা আস্ত পাঁজি- বুঝিনিতো আগে।
শ্বাশুড়িটা অনেক ভাল- শুধুই ডাকে মা
শ্বশুর ব্যাটা আস্ত গাধা- শোনেই না মোর কথা।
কথায় কথায় ঝাড়ি মারে- শ্বশুর ব্যাটার ছেলে
কাঁদতে কাঁদতে চোখের জল- গেল শুকিয়ে।
সকাল হতে সন্ধ্যাবধি- কাজের তালে থাকা
খুকি কাঁদে ওই দোয়ারে- উঠোন থাকে ফাঁকা।
পুষি বেড়াল বাসে ভাল- আমার খুকুমনি
খেলছে দেখ ওই দোয়ারে- বসে একাকি।
পুতুল আছে সাথে তাহার- ছোট্ট হাতের ছোঁয়ায়
আদর করে ঘুম পাড়িয়ে- কাঁদছে খুকি একায়।
আর লাগেনা ভাল আমার- রাঁধতে চুলোর পাড়ে
সাজু-গুজু করতে গেলে- শুধুই ঝাড়ি মারে।
যাইকিগো ভাই এমন করে! ওদের সাথে থাকা
যাবো চলে ভাবছি বসে- রাত দুপুরে একা।
বাবারবাড়ী মধুর হাড়ি- কথা কিন্তু সঠিক
শ্বশুরবাড়ী? পাঁজির হাড়ি! বলছি, আমি ঠিক।
(মার্চ ১২, ২০১৮)
দৃষ্টি আকর্ষণ- মেয়েরা বিয়ের পর শ্বশুরবাড়ীতে যেয়ে সংসারের চাবী হাতে নেবার পরপরই (শতকরা প্রায় ৫৫ জন) এমনটি মনে মনে বলতে থাকেন। আজও একান্তবর্তী সংসারে এমন পরিস্থিতি অনেক মেয়েদেরই বা বধুদের। কিন্তু তারা যদি একটু মানিয়ে নিতে পারে তবে সংসার হয় সুখের। কিন্তু ক’জন এমনটি পারে। লেখনিতে একটু উল্টো লেখা আছে। যা শ্বাশুড়ি-বৌমা করে থাকে কিন্তু আমি একটু ঘুড়িয়ে শ্বশুড়-বৌমা করেছি। আর স্বামী? দিন শেষে পরিশ্রম করে বাড়ীতে ফেরে একটু স্বাচ্ছন্দের আশায় কিন্তু বৌয়ের নালিশে অতিষ্ট হয়ে একটু বকুনি দিলে রাগ হয়ে যায় বৌয়ের। হ্যাঁ মানছি, সংসারে অনেক কাজ থাকে, যা পুরুষ মানুষ বোঝেনা। কিন্তু, স্বামীর পরিশ্রমটাওতো একটু ভেবে দেখবার বিষয়। ঠিক বলেছি কি? যা হোক অনেক লিখে ফেলেছি। ভুলত্রুটি মার্জনীয়। আজ এখানেই...