চলতি জীবন সংসার চাকা- শুধুই দেখি, চাহুনি দিয়া
দজ্জাল ওই বউটি বাঁকা- ফাঁদে কথা, একলা বইসা।
পায়ের তোড়া, হাতের চুড়ি- আরও আছে, বিছার ঝুড়ি
বাড়াবাড়ি হচ্ছে দেখ! চোখ রাঙিয়ে, দিলেম তাড়া।
ভ্যান ভ্যানিয়ে- কাঁদতে থাকা
বুলি ফোটে- জামুগা
কেঁদে কেঁদে- দিচ্ছে সাড়া।
ফোনটি করে মা ও মামা- কেন মারোগো, এমটি ঝাটা
থমকে যায় জামাই ব্যাটা- কি হলো আজ, এমন কড়া?
শ্বশুরের ব্যাটা দিল ঝাড়া? ভাবতে থাকে, জামাই ব্যাটা-
না না আর হবেনা, বেশ বুঝেছি? করলো ক্যাঠা- বউ শালি তোর, বাপের ব্যাটা।
আর কবোনা কটু কথা- ছাড় দেখিনি, ঘাড়ের মাথা
যা চলে যা, বাপের তরে- ছেড়ে থাকবি, মোর খোকা।
হৃদ যমুনায় উথাল-পাথাল- ফিরবি তুই তড়িঘড়ি
শুড়শুড়িয়ে, আসবি বাড়ী।
ভাত দেবনা, পাতে তোরি-
যা যাবি যা- বাপের বাড়ী।
(মার্চ ১৩, ২০১৮)
বিঃদ্রঃ বউ শালি তোর, বাপের ব্যাটা লেখনিটি আসলে রাগে দুঃখে ও ক্ষোভে পড়ে তার শালাকে (কুটুম) উদ্দেশ্য করা বলা হয়েছে।
দৃষ্টি আকর্ষণ- স্বামীর দ্বাবড়ে পাঁজি বধু অভিনয়ের আঙ্গিকে যখন কাঁদতে থাকে ও পিতা-মাতা এবং আত্মীয় স্বজনকে ফোনে জানাই সংসারের ঝামেলার কথা, তখন কিছু না বুঝেই তারা (পাঁজি বধুর স্বজনরা) জামায়কে আচ্ছা করে বকুনি দেয়। জামাই বুঝতে পারে ও প্রটেক্ট হিসাবে পাঁজি বধুকে চলে যেতে বলে বাপের বাড়ীতে, সাথে আরও বলে কোলের খোকাকে ছেড়ে যেতে। যাতে করে খোকার টানে সংসারে ঠিকমত থাকতে পারে। পিতা-মাতা (শ্বশুড়-শ্বাশুড়ি)’র সাথে আর ঝগড়া না করে শান্ত ভাবে থাকে। তবে শেষের প্যারাটি লিখেছি উক্ত প্রতিবেশী বন্ধু প্রায়শই এমনটি তার সহধর্মীনিকে বলে থাকেন বলে। কথা প্রসঙ্গে বলতেই হয়- উক্ত পাঁজি বধু প্রায়শই স্বামীকে বলে থাকেন- তোমার ভাত খাবনা। কেননা উক্ত পাঁজি বধু নিজেও একজন সরকারী চাকুরীজীবি।
উপরোক্ত লেখনিতে কিছু অসংগতিপূর্ণ কথা বা ভাষার ব্যবহার আছে। উক্ত অসংগতিপূর্ণ ভাষা ব্যবহারের জন্য ক্ষমা প্রার্থী।