কণে সেজে বসবে বোন- আসছে বার তারিখ
আনন্দ আর হুল্লোরেতে- সানাই বাজবে খানিক।
গায়ে হলুদ অনুষ্ঠানে- যাবো বোনের বাড়ী
মিষ্টি মন্ডা পিঠা পুলি- খাইবো মজা করি।
ঘোটক চড়ে আসবে ভাইটি- দিয়ে মাথায় টোপর
অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে- নিবে, আপন করি।
সারাটি দিন উপোষ থেকে- করবে দু’জন বিয়ে
মন্ত্রে মন্ত্রে ঊলুদ্ধনি- আর, সানায়ের সুরে।
প্রজাপতি ঋষি তোদের- করবে আশির্বাদ
সুখে থাকিস সোনা বোন তুই- এই আশির্বাদ করি।
কাঁদবে হৃদয় বোনের আর- কাঁদবে পাড়া-পড়শি
যাবে চলে ছেড়ে মোদের- ছোট্ট, সে বোনটি।
না না যাবোনা দাদা- তোমাকে আজ ছাড়ি
বোঝা কি- হয়েছি দাদা? কেন, দিচ্ছো দূরে ঠেলি।
মেয়ে হয়ে জন্মেছিস তুই- যেতেই হবে তোকে
পিতা-মাতা আপন নয়- বুঝবি একটু পরে।
স্বামীর সোহাগ পাবি তুই- থাকবি সুখে জানি
তবে কেন? কেঁদে কেঁদে- দিচ্ছিস তুই গালি।
পিতার কাছে মাতার কাছে- নইকো তুই বোঝা
জন্মেছো যে, কন্যা হয়ে? যেতেই হবে হোথা।
লক্ষ্মণ নামের ওই ছেলেটি- আসবে খানিক বাদে
কোলে করে যাবে নিয়ে- দূরের কোন দেশে।
কাঁন্না-কাঁটির রোল পড়বে- সাড়া গ্রাম ধরে
একটু বাদেই বোনটি আমার- হাসবে হৃদয় খুলে।
রাখবে মাথা স্বামীর কোলে- ভালবাসার ছোঁয়ায়
দাওনা ওগো আদর করি- একটু ভালবাসায়।
তুমিওনা! দেখবে লোকে- কি বলছো এখন
আদর সোহাগ? পরে হবে- বাড়ীর পানে গিয়ে।
সাজাবে বাসর পড়শি বোনে- মনের মাধুরী দিয়ে
বোনটি আমার বসবে সেথায়- ঘরটি আলো করে।
বোনটি ছিল বাড়ীতে মোদের- ঘরেতে ছিল আলো
মোদেরকে আজ রেখে যাবে- মুখটি করে কালো।
(জানুয়ারী ৩০, ২০১৮)
দৃষ্টি আকর্ষণ- আসছে ফেব্রুয়ারীর ১২ তারিখে বোনের (মেজ শ্যালিকা) বিয়েতে শ্বশুড়বাড়ী যেতে হবে ও সেখানে যা ঘটবে তারই আংশিক বর্ণনাতে সাজিয়েছি আজকের এই লেখনি। আশা রাখছি লেখনিটি আপনাদের খুব একটা মন্দ লাগবে না।