এই বাস থাম বলছি- দিলাম কিন্তু ঝেড়ে
পেট ডাকছে গুর গুর গুর- গেছে কিন্তু চেপে।
আমার কথা যায়নি কানে? নাকি- পাওনা শুনতে তুমি
হয়ে গেলে! বুঝবে তুমি; না থামার- জ্বালা কি।
খেয়েছি অনেক.. ফ্রি পেয়ে- রোজতো হয়না এমন
পরের খেয়ে গোয়াল তরে- রাখছি যতন করি।
থামনা ব্যাটা, ও ড্রাইভার- ধরছি পায়ে তোর
বসতে হবে ছোট্ট ঘরে- রাখতে যতন করি।
নইকো আমি একলা হেথায়- আছে, পাছে লোক
থামলে বাঁচি, দৌড়টি দিয়ে- একটু রাখা যাক।
ও ড্রাইভার ও দাদাভাই- শুনতে, আছে মানা?
শুনলে কথা বাঁচবে সিট- মন্দ, বলছি না।
নষ্ট করে লাভ কি বলো- হবে ধুতে ঠিকই
গন্ধ যখন আসবে নাকে- থামবে ঠিকই তুমি।
গুর গুর গুর গুরগুড়িয়ে- ডাকছে দেখ ভাই
থামো তুমি! বলছি শোন- জাত যে যাই যাই।
পেছন থেকে যখন দেবে- প্রকৃতির ডাকে সারা
পাবে নাকো পথটি তুমি- চোখটি ছানা বড়া।
কেন যে খেলাম, পোলাও কোরমা- সাথে ওই দই
মুরগী খাসি? দেইনি বাদ- রুই কিম্বা কই।
শ্বশুড়বাড়ীর রসের হাড়ী- বেঁচে নেই কিছুই
সাবার করে দিয়ে এলাম- আমরা ক’টা ভাই।
‘খেলে মরে, না খেলে নয়’- বুঝিনিতো আগে
থামনা ব্যাটা একটু এবার- দৌড়ে মাঠের তরে।
ঝেড়ে এসে যেইনা বাসে- রাখলে তেনার পা
গুর গুর গুর ডাকলে আবার- পেটের মধ্য টা।
দৌড়ে গিয়ে বসলে মাঠে- ভরাত ভরাত ভ
হাফ ছেড়ে তাই বাঁচলে তিনি-
এমনি? আর কখনও না।
সেকেন্ড বাদে মিনিট গেলেই- ডাকে প্রকৃতি
সারা দিতেই ব্যস্ত আছি- আমরা, সকল যাত্রী।
ওমা.আ.আ দিলো যে মোচড়- কথা? কইবো পরে সাথে
ও ড্রাইভার একটু থামা- নইলে, দিলাম কিন্তু ঝেড়ে।
(মার্চ ০৮, ২০১৮)
দৃষ্টি আকর্ষণ- ফেব্রুয়ারী ১৩, ২০১৮ তারিখ কণের বাড়ীতে (বিয়ের পরের দিন যখন বরযাত্রীরা বাড়ীর পথে পদার্পণ করে) খেয়ে বাড়ীর উদ্দেশ্যে রওনা হয়। পথে কিছুটা যেতে না যেতেই প্রকৃতির ডাকে সারা দিতে দিতে যখন ক্লান্ত-পরিশ্রান্ত। এমনকি বাসের সিটগুলোও সেদিন বাঁচেনি। দুর্গন্ধ নিবারণের জন্য বালু চাঁপা দিতে হয়েছিল। সেদিনের বাসের যাত্রীদের একটি কথাতে খুব হাসি পেয়েছিল- ‘এই বাস থাম বলছি, নইলে- দিলাম কিন্তু ঝেড়ে’। সেদিনের সেই কথা মনে আসতেই আজ আমার এই লেখনির প্রকাশ।