রাত্র ন’য়ে উঠলেন বাসে- আমার দাদাভাই
রাত দুপুরে ফোনে বলেন- আছি ঘাটেতেই।
মহা মুশকিলে পড়েছি আমি- চলেনা যে আর ফেরী
কুয়াশায় ভরে গ্যছে হেথা- যায়না দেখা তরি।
ঘোরেনা চাকা মোদের বাসের কিম্বা পাশের টা
না এগুলে যাবো কেমনে? বলতে পারো তুমি।
কি করি ভাই বলতে পারো? তোমারে শুধায়-
কেমনে যাবো বাড়ী আমি- বলোতো দেখি? উপায়।
আছে দা’ভাই একটি উপায়- হাঁটতে হবে, তড়ি-ঘড়ি
লঞ্চে করে পাড়টি হলেই- আসতে পারবে বাড়ী।
ঘাটে আছে অনেক কুয়াশা- চলছে না ভাই ফেরী
মহামুশকিল, করি কি উপায়- হচ্ছে মাথা ভারী।
চব্বিশ ঘন্টা কেটে গেছে- ঘাটেই পড়ে আছি
ন’মামা ফোনে বলেন- ধরা একটা বিড়ি।
উপায় আর কি ধরালেন বিড়ি- টানলে না যায় সময়
ফোনে করে বিরক্ত মোরে- আছো কি, এখনও হোথায়?
বলি সকলরে আছি ঘাটে- চলেনা গাড়ীর চাকা
কুয়াশায় দেখেনা চোখ- লাগছে ফাঁকা ফাঁকা।
সঙ্গী এখন ফোনটি মোর- ফেচুমবুক ঘাঁটি
পোষ্ট করেছি যেই ছবিটা- আসছে কমেন্ট ভারী।
কেউ বলে তুই বিড়ি ধরা- কেউবা বলে ঘুমা
ঘুমের ব্যাটা গেছে চলে- চক্ষু ছানা বড়া।
একটি রাত একটি দিন- গেল চলে পথে
সাঝের বেলা ফেরী করে- আসলাম, এ পাড়ে।
ছুটছে গাড়ী হন-হনিয়ে- যাচ্ছে খুবই দ্রুত
সামনের গাড়ী মেরে দিল- সিএনজিতে গুতো।
উল্টে-পাল্টে পড়লো গিয়ে- পাশের রোডেতে
মানুষ-জন এসে দেখে, গেছে- দু’টো প্রাণ চলে।
আবার হলো জ্যাম সেথায়- প্রায়, ঘন্টা দু’য়েক
বাড়ী না গিয়ে বোনের বাড়ী- আসলো দা’ভাই চলে।
ট্রাভেলস্-এর ওই গাড়ীটি- গেল দ্রুত চলি
পেছন ফিরে না তাকিয়ে- এগিয়ে গেলো গাড়ী।
কি নির্দয় ওই লোকটি- ক্যামনে চালায় গাড়ী
দেখে শুনে চালালে কি ভাই- যেত প্রাণ দু’টি?
তিন তিনটি দিন যে গেল- পথে পথে তার
দু’দিন আগে গেলেন বাড়ী- নিয়ে বোনের বর।
(ফেব্রুয়ারী ০৮, ২০১৮)
দৃষ্টি আকর্ষণ- বড় কুটুম গত সোমবার সন্ধ্যায় নারায়নগঞ্জ হতে বাসে ওঠেন আর মঙ্গলবার সন্ধ্যায় আমাদের বাড়ীতে আসেন। কুয়াশাচ্ছন্ন ঘাটের বর্ণনা করেন ও এপাড়ে এসে একটি সিএনজি’র করুণ এ্যাকসিডেন্টের কথা বলেন। দা’ভাইয়ের সে সকল কথন একত্রিত করে আমার আজকের এই লেখনির প্রকাশ।