প্রত্যেক বৎসরের মাঘ মাসের শুক্লা পঞ্চমী তিথি
বিদ্যা দেবীর আগমনে মেনে সকল নিয়ম রীতি
তোমার বন্দনায় মাতাশ্রী মোরা ছোট-বড় সকলে
শাস্ত্রীয় বিধান পালনে মোরা মন্ডপে এসেছি দলে দলে।
অভ্র -আবীর আমের মুকুল পুস্তক -কালি ও যবের শীষ
মনের কালি বিসর্জন দিয়ে হিংসে বিভেদ কিংবা উঁচু-নিচ।
কুল ভক্ষণে নিষেধাজ্ঞা রবে কিন্তু সকল বিদ্যার্থীর
বেদ প্রসবিনী তুমি হে শ্রী মাতা বিণাপাণি দেবীর।
সুর-সঙ্গীত বিদ্যে-বুদ্ধি ও জ্ঞান সব তোমারই দান
পরম পূজনীয় আপামর বাঙালী পরিবারের তুমি যে প্রাণ!
আদ্যাশক্তির আরেক রুপ স্বাগত হে দেবী স্বাড়ম্বরে
বিদ্যার্থীরা রয়েছে সব প্রার্থনারত তোমারি চরণ ধরে।
পূজোয় পূজো যাচ্ছে গো সময় সন্ধ্যে হলেই বিসর্জন
বিদ্যা দেবীর আগমনে বাহারী ভোগের আয়োজন?
পূজোর শেষে প্রসাদ গ্রহন এই মোদের নিত্য সংস্কৃতি
পূজোর নামে চলবে না ভন্ডামি বা সংস্কৃতির বিকৃতি।
সাত্ত্বিক পুজোর আহবান রইলো সকলের কাছে
তামসিক চিন্তা-চেতনা হয় গো মানবের মাঝে মাঝে!
বিদ্যের "বি" অর্জন করতে রয়েছেন মোর মাতাশ্রী পাশে
লেখায় থাকবে মনের ভাষা কুশলে থাকবেন শ্রীপঞ্চমী মাসে।
বি.দ্র:- [ পুজোর নাম করে অনেকেই পূজোকে বিতর্কিত করে ফেলেন নিজের অজান্তে, সুতরাং পূজো, উৎসব, পার্বণ যাই বলুন না কেন, এগুলো সাত্ত্বিকভাবেই করা উচিৎ । সবাইকে সরস্বতী পূজার আগাম শুভেচ্ছা। ]