ভেজা দেহে মন করে সংকল্প কি?
থামেনা মন বায়না করে অকারন!
বর্ষায় আগমণি ঝড়ে শিশুরা মত্ত আম আহরণে
বারান্দায় দাঁড়িয়ে অপলক দৃষ্টিতে ব্যথিত মোর চরণ।
কালো মেঘের ভয়ংকর শব্দ গগণে গুড়ুম গুড়ুম
গলা শুকিয়ে ভয়ে মোর অবস্থা করুণ!
ছনের ঘরে একেলা পেয়ে এসেছে বরুণদা
ছাতা রেখে পিঁড়িতে বসে জ্বালিয়েছে তামুক।
দুজনের বাক্য বিনিময়ে ঝড় গিয়েছে থেমে
বরুণদা কহে, উঠি মশাই পরে কথা হবে ক্ষণে!
বৃষ্টির জলে উঠোন যায় ডুবে ডুবে
ব্যাঙ মশাই বেসুরে গলায় ধরেছে গান ধুঁকে ধুঁকে।
প্রকৃতির অবলীলায় বর্ষার পানিতে থৈ থৈ
চারিদিকে তখন মাছ ধরার উৎসবের আমেজ
মনু নদীর পাড়ে বসে মগ্ন অখিল গোমেজ
এত ভেবো না কহেন দাদামশাই পংকজ।
দূরের ডিঙি নৌকো অবিরাম ছুটেছে ঘেঁষে
দু:শ্চিন্তায় সকলের ফসল কি যাবে ভেসে?
বন্যায় ভুক্তভোগী মানুষের দু:খ বুঝিবে না কেহ
বাসস্থানটুকু নদীর গর্ভে বিলীণ অসহায় মোর দেহ।
বি.দ্র:- [ বন্যা কবলিত মানুষের দু:খ সীমাহীন, তাদের প্রতি উৎসর্গ আমার এই কবিতা। ]