বুদ্ধ শোনালে শান্তির বাণী, আমরা আজিকে কেহ নাহি মানি,
চারিদিকে দেখি রক্তগঙ্গা, জাতি-ধর্মের নামেতে দাঙ্গা।
অর্থে মাপিছে প্রাণের মূল্য দেশের মহান নেতা।
বুদ্ধ তোমার শান্তির বাণী আজিকে হোলো যে বৃথা।।
যুদ্ধ বিনে শান্তি চাই বলিছে সকল দেশ
শ্বাপদের দল ধরিছে কেবল ভন্ড ঋষির বেশ।।
ভাইয়ে রক্তে খেলিতেছে হোলী, মুখেতে রয়েছে ধর্মের বুলি।
অস্ত্র যুদ্ধে মেতেছে সকলে, মনেতে নাহিকো লাজ।
কাহারে বুদ্ধ শোনাইবে তুমি শান্তির বাণী আজ।।
নারীর লজ্জ্বা লুটিতেছে সাধু, ক্ষুধায় কাঁদিছে নবজাত শিশু
মাতার অশ্রু গিয়াছে শুকায়ে দেহেতে শক্তি নাই।
পরমানু আর মঙ্গলযান আজিকে মোদের চাই।।
ক্ষুধাতুর শিশু কেঁদে বল মাকে চলো মন্দিরে যাই,
কৃপা যদি করে পাশান ঠাকুর দুমুঠো অন্ন পাই।
মাতা কণ ওরে চুপ হতভাগা কেমনে সেখানে যাবো,
গরীব আমরা, তায় নীচু জাত অনুমতি নাহি পাবো।
ক্ষুধাতুর শিশু জানেনাতো জাত, ধনী গরিবের পরেনাই পাঠ।
কেঁদে কয় তবে সবে কেনো বলে মোরা মানুষ জাত,
গরীবেরে কেনো ক্ষুধা দেন প্রভূ কেনো এতো অপবাদ।।
আজিকে সমাজ ভুলিয়াছে প্রেম, হারায়েছে সব লাজ।
বুদ্ধ তোমার শান্তির বানী বৃথা হোলো দেখি আজ।

শঙ্কর রুদ্র
৫-৪-২০১৮
নয়ডা