পেত্নী-বুড়ির সুন্দরী মেয়ে শাঁকচুন্নির বিয়ে
স্কন্ধকাটা মত দিয়েছে এতদিনে গিয়ে।
চৈত্র মাসের অমাবস্যা ত্রয়-স্পর্শ তায়
এটাই শুভদিন হলো বেহ্মদত্যির রায়।
একপাদা নিতবর আর মেছুনী নিতকনে
বেহ্মদত্যি পুরুত হবেন সবাই রেখো মনে।
শেওড়া তলায় ছাদনাতলা বাঁশ পাতারই সাজ,
এসব দেখে শাঁকচুন্নির পাচ্ছে ভারি লাজ।
কন্যা গেল সাজতে এখন লয়ে সখীর দলে,
সারা অঙ্গে পাঁক মাখে আর গোবর ঘসে গালে।
মাথায় গোঁজে কাকের পালক, গলায় হাড়ের মালা,
সাদা শাড়ী পড়ে কন্যা, হাতে হাড়ের বালা।
ভুত-বুকেতে খবর দিল মোটা টেকো ভুতে,
শেওরাতলায় ভিড় জমাল দেশ-বিদেশের ভুতে।
কেউ মোটা কেউ রোগা আবার কেউ বেঁটে কেউ ঢ্যাঙা
কারোর মাথায় লম্বা টিকি, কেউ বা আবার ন্যাড়া।
হরেক রকম ভুতের দেখি হরেক রকম সাজ
কেউ বা কানা, কান কাটা কেউ, ভুতের মেলা আজ।
বেহ্মদত্যি দিচ্ছে বিয়ে নিমগাছেতে বসে
মুণ্ডু-হাতে স্কন্ধকাটা শাকীর পাশে বসে।
খাওয়া দাওয়া কেমন সেটা চলো দেখে আসি,
দালটা খুবই টাটকা কেবল পনেরো দিনের বাসি।
আরশোলারই ঠ্যাং আর আছে ব্যাঙ ভাজা
গেঁড়ি-গুগলির ঝোলের সাথে মাছ পোরা সব তাজা।
মাছের কাঁটার ঝালের শেষে আছে কেঁচোর চাটনি,
নানান রকম খাওয়ার আছে কোন কিছুই বাদ নেই।
বর-কন্যায় আশীর্বাদে ছুড়ছে হারের কুঁচি
এই ফাঁকেতে পালাই আমি প্রাণটা নিয়ে বাঁচি।।
শঙ্কর রুদ্র
২০-১১-২০১৯
নয়ডা