রজত : — ২০১৬ সাল। পশ্চিমবাংলার অধিকাংশ শিক্ষিত-অশিক্ষিত, ছাত্র-শিক্ষক, চাকুরিজীবি-বেকার, পুরোহিত-জজমান, ধনী-গরীব, সাদা-কালো, বিশ্বাসী-অবিশ্বাসী মানুষগুলো যখন ব্যস্ত হয়ে পড়েছে বিষাক্ত রাজনীতির মধ্যে পুঁজ হয়ে ভরে থাকতে ; হিংসা, ক্ষমতা, লুঠ হাতিয়ার করে যখন তারা একে অপরের সাথে কম্পিটিশনে ছাড়িয়ে যাচ্ছে যাবতীয় আদিম ইতরতাকে। কৃষিপ্রধান দেশে যখন প্রতিশ্রূতি দিয়েও স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রীই গা এলিয়ে দিচ্ছেন একের পর এক কৃষকের আত্মহত্যাকে। আমি তখন পশ্চিমবাংলার বাইরে থেকে স্বার্থপরের বারবার অভাববোধ করছি সেই একটা জিনিসকেই। সত্যি বলতে কি আমি এখনও যখন তখন উথলে উঠি আমার সেই পুরাতন হারানো ভালোবাসার সর্বগ্রাসী টানে। দেশ-বিদেশের ভালোমন্দ, ঠাণ্ডাগরম, আলো-আধার সবকিছুকে অগ্রাহ্য করে আমার দেখা অদেখার আনাচকানাচ থেকে বেড়িয়ে এসে শরীর ঘেঁসে দাঁড়ায় আমারই ভালোবাসা। ভালোবাসা, অথাৎ বুকের খাঁচার মধ্যে প্রাণ নিয়ে আসা। ভালোবাসা, অথাৎ শূণ্যবাড়ি হঠাতই রাস-উৎসবে রাজবাড়ি হয়ে যাওয়া। শুধু জানি না, আমার সেই ভালোবাসা এখন কোথায় আছে ? কেমন আছে ? আর আমি ? আমিও আছি... কেমন আছি , সেটা বলা শক্ত। কিছুটা এরকম...
কেমন আছি ?
সুব্রত সামন্ত (বুবাই)
— কেমন আছি ?
হ্যাঁ ভালোই আছি।
শুধু বুকের মধ্যে দালানকোঠা বাড়ি, হরিয়ালি তছনছ আর ওলটপালট।
বাকি সব আছে এক রকমের যেমন তেমন।
শুধু মানতে গিয়ে কষ্ট হয় একের পর এক হেরে যাওয়া ঘটনাগুলো।
জানলা দিয়ে আলো বাতাস আসার জায়গায় আসে ধুলো।
সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে মুখের হাঁসিও পাবে
বাধ্যতামূলক পরিবেশনযোগ্য।
ঝড় পরবর্তী দীঘির পাড়ের মতো মন নিয়ে আছি ভালো ;
আবোলতাবোল।
চিলে কোঠার ঘরে স্তুপ করে ফেলে রাখা অব্যবহৃত বাসোন কোসোনের মতো
এই মনকে এরপরও কে আর দখল করবে বল ?
ভালোবাসা বেওয়ারিস হয়ে গেলে এর বেশি আর কে থাকে ভালো, তুমিই বল ?
**** লেখাটি “আজ কবিতারা কথা বলবে পার্ট – ২”
অডিও সিডি “আমাকে আর একটু কাঁদতে দাও” থেকে নেওয়া হল।