একুশের কাছে আরো একটি অমর প্রতিবেদন
সুব্রত সামন্ত (বুবাই)
ফেলে আসা, পুরো তিনটে দিন আর চার-চারটে রাত
এ গল্পের সূত্রপাত।
যতখানি দূরত্ব পেড়িয়ে তোমাকে ছুঁতে পারি
আমি নিজেকে খাটো করে, এখন তার খুব কাছাকাছি।
এরই মধ্যে দেখতে পারছি আমাকে মাতাল তৈরির ফরমাসে
তোমার ছলকে ওঠা যাতায়াত ; লিখছে সনেটকাব্য।
তোমার হাতের আঙুল বোলানো উল্কিগুচ্ছ আলাপ আনছে…
যেই আলাপে থাকে শুধুই সবুজের ঢল।
যদিও এখনো তা সর্বশ্রেষ্ঠ বুদবুদমাত্রই।
অল্প কিছুক্ষণের মধ্যেই শুরু হবে ভেঙে পড়া লুঠেরা-বৃষ্টির ছুট্পাগল।
তন্দ্রাজড়ানো গল্পে তখন আমি শুধুই বিরতিবিহীন দলা পাকিয়ে
‘একটি ডাকের অপেক্ষামাত্র’।
এ জন্মের যাবতীয় ক্ষোভ উগড়ে দিয়ে
আমি আমার যাবতীয় অবহেলায় উপর রাজপ্রসাদ বানানো
শুরু করলাম।
এরপরও আমার উপর খবরদারি করা ছেড়ে দিয়ে
নজরদারি করতে পারো না, সোনাটা ?
যার মানে হবে :
আরো অল্পকিছুর সাধ ;
আরেকটু বেঁচে থাকা ;
একুশের আরো... আরো কাছে এসো প্রিয়তমা।
শুধু একটিবার ‘তাহাদের মতো’ অর্থহারানো বিস্ময়ের অবাক চোখে
আমাকে নির্মাণ কর, ননস্টপ নিঃশব্দ-শব্দ হয়ে
অনন্ত সংবাদেজুড়ে আমার কোলের উপর ভেঙে পড়ে, ডুব দাও।
আমিও নিজেকে তোমার কাছে এমন এক ব্যাখ্যায় সাবমিট করব ;
যাতে করে সুদীর্ঘকাল পরেও এই মুহূর্তকটা মমি হলেও
খোদাই হবে ‘মুখোমুখি বসে থাকার ইতিবৃত্ত’।
রাস্তার এই মোড়ে এসে সমস্ত ভাবাভাবি বাদ।
পুনর্বহালে গচ্ছিত রইল ফিরতি স্বাগতম।
দ্যাখো তোমাকে ঘিরে কেমন লতিয়ে উঠছে আমার রূপকথার গল্পেরা।
তুমি তাদেরকে তোমার ঠোঁটে খুঁটে তুলে নিয়ে
আদরে-যত্নে খোলস ছাড়িয়ে অবস্থান সুনিশ্চিত করে দাও।
চলো পাগলী
পাখনা মেলে একে অপরের অধীন হয়ে যাই।
**** লেখাটি “আজ কবিতারা কথা বলবে পার্ট – ২”
অডিও সিডি “আমাকে আর একটু কাঁদতে দাও” থেকে নেওয়া হল।