অকৃতজ্ঞ
সুব্রত সামন্ত (বুবাই)

প্রিয় অভীক,
তোর সামনে রেখে গেলাম না-বলা সেই ‘না-ফুরানো-রাতদিন’।
তোর হৃদয়খানা লাল রঙে পুড়িয়ে দিলে, চুপিচুপি নিয়ে নিলাম ছুটি।
ফুরিয়ে গেল পাশাপাশি, মুখোমুখি দিনখরচের একশরকম ঝুঁকি।
অবহেলায় থাকল পড়ে সাগর পাড়ের দীর্ঘজটের দিন।
উপড়ে গেল তেষ্টা নিয়ে বিষম খেয়ে আদর খাওয়ার
সকল কাজের ফাঁকি।
কেননা তোকে কথা দিয়ে কথা রাখার মেয়েটা নিজেই আজ
ভালোবাসায় অধিক ব্যক্তি এবং বস্তুতে বিভাজ্য।

একটা ইচ্ছাতে ভিজতে গিয়ে হাজাররকম অজুহাতে যে ছোঁতো তোর
ঐ গরম বুকের গভীর খাতের নরম কটি লোম ;
সে এখন তোর অনেক বেশি পর।
শুরুর শুরুটা যেমন ছিলো ভালো-মন্দ-ভুলে মিশে
‘অনেক বেশি দামী’ ;
সেসব আজ অনেক মাইল হারিয়ে গিয়ে দূর-সমুদ্দুর।
তাছাড়া মা নিজেও বলেন :
বেশি কিছু হলে একটি বিশেষ ঘরের বিশেষস্নানে নিয়ে গিয়ে
ধুয়ে নেবেন যদি ঘটে কিছু ভুল।
তাই আজ থেকে তুই ছেড়ে দে
ইচ্ছেভরে জমে থাকা ভাঙা ছবি জোড়া দেওয়ার তাগিদ।

তাছাড়া তুই নিজেও জানিস—
ভালোবাসাকে ঠিকানা দিতে একটি সচিত্র পরিচয়পত্রের দরকার
আর তোর যেটা আছে সেটাকে আমার মা-বাবা গ্রাহ্যও করে না।
সেজন্য তোর ভালোর জন্যই বলছি ,
তুইও এবার থেকে আমার মতোই চাষাবাদে মন দে।
লক্ষ্মীটি আমার এই একটা কথা অন্তত শোন
এরপর আর কখনো পুরানো পাড়ায় গিয়ে গড়িয়ে দিস না বছর।

জানি, যদিও এটা অনেক কঠিন কাজ
তবুও নিলর্জ্জের মতো বলছি ;
শুধু আমার সুখের কথা ভেবে
                    পারলে—
তোর এই সবচেয়ে কাছের শাস্তিযোগ্য প্রিয়-শত্রুর ত্রুটিটা মাপ করে দিস।

সুব্রত
০১.০৪.২০১৬
মানামা, বাহ্-রাইন ….