আরো একবার—
গোপনে আর সংগোপনে আমি হয়ে পড়ি একা ।
শেষ-সূর্যাস্তের প্রথম সূর্যোদয়টা যেখানে
সেই অতিমানবীর নামে একচেঞ্জ হয়ে যায়
আমি এবং আমার ইন্তেহারকাল ।

প্রথমে—
রিখটার স্কেলে প্রতিটা ভালোবাসার কেন্দ্রবিন্দু এক ;
পরিমাপ এক ;
প্রাপ্ত পয়েন্টও এক ।
এর বাইরে কিছু হতে হলে
নিয়মিত কম্পিটিশনে আসতে হয় ।
ভালোবাসাতে রীতিমতো যত্ন করতে হয় ।
ভালোবাসাকে ইচ্ছেমতো কথা বলতে দিতে হয় ।
বাড়তি প্রশ্রয়ে পড়তের পর পড়ত বিস্তৃত করতে হয়
‘বহুকালের লোকসমক্ষে যেসব নির্ষিদ্ধ লোকগাথা’ ।

নচেৎ  
এসব ‘ভুল না ভাঙানোর’ ভুল অভিমানই বড় হয়ে
ভিড় রাস্তাকে নানাভাবে একা করে দেয় ।
কিংবা বাধ্য বিকেলটাকে অকালে আবসরে নিয়ে যায় ।
হাতের উপর আঁকড়ে থাকে হাতটাকে নিমেষে টেনে-হিঁচড়ে
কখন যে পাথর চাপা করে ; তাই-বা কে বলে জানে !

তবে তোমার আমার বিষয় হলে
আলাদা ।
সেখানে আজো যেমন , পঞ্চাশ কোটি বছর পরেও তেমন ।
কোনো এক উর্তি প্রেমিক-প্রেমিকা শিক্ষার্থি বসে পড়ছে ...
কোনো এক অতিমানব কোনো এক অতিমানবীকে ভালবাসত
তাদেরই এই পৃথিবীতে ।
অতিমানব তার কষ্টের দিনলোকে উপড়ে নিয়ে আবদ্ধ হত
অতিমানবীর ভাঁজ করা গলা , চিবুক কিংবা আরো অন্য কিছুতে ।
মাথার লম্বা চুল আর গায়ের গন্ধে অর্ধয়ন করত
সুনামি জয়ের অধ্যায় ।
আর অন্যদিকে অতিমানবী
ভালোবাসাকে মুড়িয়ে মুড়িয়ে
রচনা করত ‘ভালোবাসার গল্প’ ।

সুব্রত সামন্ত (বুবাই)
মানামা , বাহরাইন
১৫/৮/২০১৯