বর্ষার জল জ্বালিয়েছিলো আগুন, পুড়ে পুড়ে ঝুলেছে সব রাত্রির কাঁটাতারে
সে আগুনে পুড়ে মরেছে শুধুই কিছু অতিলোভী পিঁপড়ের দল
সে আগুন ছুঁয়েছে রাতজাগা প্রেমিকের দৃষ্টি, প্রেমিকার চিবুকের তিল
রাতের ঘুম, ভাতের ক্ষিদে, অভাবের সংসার, স্ত্রীর চুমু, একলা ল্যাম্পপোস্টের আলো।
সে আগুন নেভাতে গিয়ে ঝাপিয়ে পড়েছিলো এ শহরের সমস্ত ফায়ার ব্রিগেড! সে আগুন নিভেনি সহজে।
ব্যার্থ সে আগুন আমায় ছুঁতে পারেনি; বিশ্বাস করা বা না করা একান্ত ব্যাক্তিগত সিদ্ধান্ত তোমার।
কিন্তু আমি বলছি সে আগুন আমায় ছঁতে পারেনি এক চুলও।

আমাজানের দাবানলের মতো আঁচ হবে অনেকেই বলেছিলো
স্যাটেলাইটের কল্যানে সবাই ঘরে বসেই সে আঁচ বোধ করেছিলো হয়তো
আমি সেসব খবর রাখিনি; আমার তো শুধু একটা অগ্নি নির্বাপক খবর দরকার।
কারন আমি জানি পৃথিবীর কোন আগুনের আঁচই এই শরীরকে ছুঁবে না আর
কিছুদিন আগেই তো বোধ করলাম যে এই খসখসে চামড়া অদাহ্য
সে আগুন আমায় ছঁয়েও দেখেনি একবার তুমি জেনো।

শুধুমাত্র একটা খবর হলেই হতো; তুমি কেমন আছো?
এসমস্ত জানিনা বলেই তো আজ এই বেহাল দশা
অনেকেই বলছে আমি মানুষ নই
বুকের বা-পাশে জ্বলন্ত অগ্নিকুণ্ড নিয়ে ঘুরে বেড়ালে এসব তো শুনতেই হবে
না না আমার কোন আধুনিক অগ্নি নির্বাপক প্রয়োজন নেই
নিজেকে মুক্ত ভগবান ভাবতে মন্দ লাগে না!

একটা আততায়ী প্রেম যখন সমস্ত অস্তিত্বে আগুন জ্বালিয়ে নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়
তখন ওসব কল্প নরকের গল্পে সাজানো আগুন আর কিছু করতে পারে না প্রেমিকের
আর আগুনে পুড়ে পুড়ে মরে যাচ্ছি শুনলেও তুমি বিশ্বাস করো না
গুজব রটানো এখন একটা ফ্যাশন অথবা ট্রেন্ড ও বলতে পারো
সময় হলে সব জানতে পারবে; তুমি কেমন আছো?
না আমার কোন আধুনিক অগ্নি নির্বাপক প্রয়োজন নেই
জানতে পারলে নিভে যেতো আগুন, জানালার গ্রিলে ঘর বাঁধতো অবাধ বৃষ্টি ফোঁটা
বুকের কাছে ডেকে আনতাম আনতাম সমুদ্র; না কোন ভগবান নয় মুক্ত প্রেমিক
না আমার কোন আধুনিক অগ্নি নির্বাপক প্রয়োজন নেই
শুধু একটা অগ্নি নির্বাপক খবর চাই।

সুবর্ণ শুভ/১৫০৯২১/শয়নকক্ষ