হে ভগবান,
দাও আমায় জাগ্রত করার অফুরন্ত মনোবল;
আমি যে পারছিনা!
এই নিষ্ঠুর স্বপ্ন মহলে থাকতে সবল।
মলিন আঁস্তাকুড়ে রয়েছে ছড়িয়ে ছিটিয়ে
অভুক্ত, জীর্ণ লিকলিকে মানুষ অশ্রু নয়নে;
আমি যে একা, কি করে পারি
সাহায্যের হাত ছড়িয়ে বুকে টেনে।
আমি যে নিঃস্ব! আমি একাকী!
আমাকে অর্থহীন করেছে এই ভাগ্য!
শুধু এই করুন সংবেদনশীল মনে,
থাকে অশ্রু নয়নে এটাই আমার সাক্ষ্য!
অশ্রু নয়নে যখন রাস্তায় তাকাই,
পড়ে আছে খোলা নির্মল আকাশের নীচে ;
রক্তে রাঙা, ভঙ্গ দেহ, নিঝুম রাতে
চিরতরে শুয়ে আছে ভারত মায়ের কোলে!
কত ধর্মের, কত মানুষের সমাবেশ,
আমাদের এই নিয়ে নির্মল দেশ;
তবুও কেন ধর্ষণ, নির্যাতন,
কেন সাহায্য হীন আমার তোমার বোন?
লজ্জার মোহে, অচল পড়া স্বপ্ন বুকে
ত্যাগ করেছে ভারত মায়ের কোল শেষে!
হয়তো তাদের দেখা স্বপ্ন নতুন রূপ পেত,
যদি সবাই সাহায্যের হাত বাড়াত সেই মুহূর্তে।
তারা আমার তোমার ভাই-বোন নব রূপে গড়তো
সমাজ যদি থাকতো বেঁচে এই জগতে;
হে সমাজ, কোন শিক্ষায় তৈরি করেছো
সবুজ মোহ মাখিত জগতে এই মানুষ?
সবুজের কোমল স্পর্শেও বড়ো বড়ো ব্যাধিও দূরে থাকে,
তাহলে এরাও কি......
এই দিবালোকে একি স্বপ্ন দেখালে
এই জাগ্রত দুই নয়নে!
তবুও আমি চুব থাকতে পারিনা,
এই স্বপ্ন মহলের শয়নে,
ভালো হত যদি হতাম আমি অন্ধ,
তখন হয়তো কান্নার ধ্বনি শুনতাম কানে!
দেখতে পেতাম না সবুজের রাঙা মাকে,
তবুও তো এইসব শিহরণ দৃশ্য
স্বপ্নের মতো লাগতো মনে।।


রচনাকাল -
নিজ বাসভবন,
শনিবার, ০৭/০১/২০১৭,
সকাল- ০৬:৩১,