@@@@@বাংলাদেশ ভ্রমন@@
নারানগঞ্জের ডোমসার নগর।
তোমায় মনে রাখব জীবনভর।
2012 এর শুক্রবার রাত 11টাতে পৌছলাম শ্রীহরির ঘরের পাড়া।
ঝাপিয়ে তখন পড়ছে বৃষ্টি হারিকেনের আলোয় উঠান খানা।
অক্সিজেনে ভরা মিষ্টি বাতাস বুকটা ভরে নিলাম নিশ্বাস।
ক্যান্ডেল লাইট ডিনার খেলাম,জীভের আগায় সে কি আস্বাদ।
শোয়ার জায়গা অসাধারণ,রাতের ঘুমে শরীর চনমন।
সকলে উঠেই প্রকৃতি দেখে আহ্লাদে মন তখন আটখান।
বাড়ির পাশ দিয়ে বহিছে নদী,সেটাই যেন গ্রামের গতি।
নৌকা বোঝাই শাপলার আঁটি,সার দিয়ে সব নামাচ্ছে মাঝি।
সামনে এগোলেই সুপার মার্কেট।
সেটাই হলো পুরো গ্রামের টার্গেট।
অবাক হলাম দেখে সেথায় গোবিন্দ পালের মর্ডান মেডিকেল স্টোর।
সবজি বাজার,পোশাক আসাক,মাছ মাংস ও শ্রীহরি পালের জুয়েলারি স্টোর।
পাশেই আছে মিষ্টির দোকান সেথায় পাবা পরটা আর আদা চা মহান।
মেজদার সাথে সেখান থেকে ছানা দিয়ে পরোটা আর আদা চা এর নিদান।
বয়সে ছোট মেছদার পুত্র "সুমন" বন্ধু হল ঘোরাতে পুরো গ্রাম খান।
জাপানি টুকটুকি চলছে সেথায়,গেলেম দেখতে পদ্মার ভাঙন খান।
বড়দির বাড়ির তোয়াজ খাবার সাথে পাশের বাড়ির পাউরুটি আর রাজভোগ মহান।
ফেরার পথে রাত্রি হল গদাই কানে ব্যাথা পেল,মাঝের সেই টূকটুকির চার্জ শেষ,রাস্তা তখন কালো গহন।
বুক দুরু দুরু করে পদ্মা পার,মেওয়া ঘাট ছেড়ে ঢাকার পথ।
মাঝে শেখর নগরের বীণার বাড়ি,কালি মন্দির ও ভয়ের ইছামতী তে ছিপ নৌকার শখ।
পরের দিন শিতলা তলা আর ইছামতীতে গা ধোয়া।
পৌছে গেলেম ঢাকা শহর ইউনিভার্সিটি আর ঢাকশ্বরী মন্দির দেখা।
খাওয়া হল হাজি বিরিয়ানি,ঢাকার রিক্সায় উটেই বেড়াই।
ফিরতে হল বাসে চেপে বুড়ি গঙ্গার পুল পেরিয়েই।
ফেরার পথে পেট্রাপোলের মাছের ঝোল।
আহা আনন্দদায়ক করল আরও মোন।