ছেলেটিকে দেখা যায় লোকাল ট্রেনের কামরায়
কখনও বা ফুটপাতে।
জানিনা নাম কি তার ঠিকানা কি তার
বাড়ি তার কোন্ পথে?
একদিন দেখি সে বাবুদের পায়ে বসে
ভিক্ষা করছে।
কোনো বাবু বুঝল না ছেলেটির যন্ত্রণা
ক্ষুধায় সে মরছে।
কেউ বলে দুর্ দুর্ কেউ বলে মারব চড়
সবাই ভাবে পর।
ছেলেটি চলে যায় খোঁজে অন্য উপায়
হয়ে ক্ষুধায় কাতর।
কষ্টে ক্ষুধার জ্বালায় চুরিতে বাধ্য হয়
একটি রুটি মোটে।
দোকানি দেখে নিলে তাকে ধরে ফেলে
আধন্যাঁড়া চুল কাটে।
হাত পা বেঁধে অমানবিক ক্রোধে
মারে চাটি, থাপ্পড়।
দেখে কিছু লোকে শুধায়,'মারো কেন ওকে'
বলে দোকানি 'এ ছোরা চোর।'
শুনে তারা বলে চটে 'উচিত সাজা বটে
আরও ক'ঘা দাও ছোরাকে।
ওকে পুলিশে দাও বুঝুক আজ ও
চুরির সাজা বলে কাকে।'
চুরি করে একটি রুটি ক্ষুধার্ত শিশুটি
বড় দোষ করেছে।
আজকাল সমাজের দোষ-গুণ বিচারের
জ্ঞানটি যে বেড়েছে।
তাই ছোট্ট ছেলেটির সাজা হয় রুটি চুরির
নির্মম কায়দায়।
চুরি করে যারা মানুষের তন্দ্রা
তারা চোর নয়!
জনতাকে গবেট করে নিত্য যারা পকেট ভরে
তারা চোর নয়!
ক্ষুধায় কাতর হয়েই রুটি চুরি করে যেই
সেই চোর হয়!
যত ঠক জোচ্চরে দামী দামী পোষাক পরে
সম্মানীয় হন।
মুখোশের আড়ালে তারা চুরি করে বানায় সারা
জনতার মূলধন।
-------------
৩০/০৭/২০১৬, কল্যাণী