জন্ম তার গরীব ঘরে
চার বোনের জন্মের পরে
দুঃখকে করে সাথী।
শৈশবেই মা হারা হয়
পাঠশালা তার বন্ধ হয়
বদলায় জীবনের গতি।
বয়স যেই হল ষোলো
বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে এলো
পরশি পুলিন দস্তীদার।
গায়ের রং কালো বলে
বর পক্ষ দেখে বলে
পণ লাগবে দশ হাজার।
বিয়ের পর স্বামীর ঘরে
বৃথাই সুখ আশা করে
মিলল দুখের নতুন অধ্যায়।
পণের টাকা ফুরোলে পরে
শাশুড়ী না সইতে পারে
দশ হাজার আরও চায়।
শাশুড়ী তো দুরের কথা
স্বামীই যে দেয় ব্যথা
দিবানিশি করে বঞ্চনা।
কাজ সে কম করে না
তবু কারও মন পায় না
প্রাপ্য শুধুই লাঞ্ছনা।
মোচন করো মোর জ্বালাকে
ঈশ্বরকে রোজ ডাকে
কবে শেষ হবে দুর্দিন।
শেষ হবে যত অকাল
নিকটে যখন সুখের কাল
তখন আসলো সেই দিন।
ঈশ্বর সদয় হল
তার প্রতি দৃষ্টি দিল
খাঁচার পাখি ছিঁড়লো বাঁধন।
সুখের ঘুমে মগ্ন হল
শত কষ্টের পরে হল
জনমদুঃখিনীর দুঃখমোচন।
--------------
০৬/০৯/২০১৬, কল্যাণী