কে যাও?
কে যাও গো সমুখের রাস্তা দিয়ে,
রোজ ভোরে ফুলের সাজি হাতে?
তুমি কি পূজারিনী?
তুমি কি আমায় দেখো না?
আমিও তো বসে থাকি, দখিনের খোলা বাতায়নে,
পুবের সূর্যোদয় যখন আবীর ছড়ায় আকাশে,
ক্ষুধার্ত পাখিরা উড়ে যায়, নীড় ছেড়ে খাদ্য সন্ধানে।
প্রতিটি ভোর, তোমার ফুলের অনুসন্ধান যাত্রায়
নিজেকে মনে করে, অসীম ভাগ্যবান,
তার সাথে আমিও হই সমান ভাগ্যবান,
নীলাকাশের নবীন অরুণও হয়ত তাই মনে করেন।
নিদ্রাহীন রাত শেষে, সূর্য ওঠারও অনেক আগে,
নিশাচর পাখিদের আপন কুলায় ফেরার ক্ষণে,
অপেক্ষা করতে রাজি, এক সাজি ভর্তি ফুল নিয়ে,
যদি পাই সঘন সম্মতি তোমার দীঘল চোখের ইশারাতে।
সেইদিন ঘোর বর্ষার ভোরে, আপাদমস্তক ভিজে,
কোনও এক তিথি নক্ষত্রের সমাবেশে, অপ্রস্তুতে
হয়ত বা ভুল করে, দাঁড়িয়েছিলে এসে ত্রস্ত পায়ে
আমার এই খোলা বাতায়ন পাশে, আমারই সমুখে।
বজ্র বিদ্যুৎ নির্ঘোষ চকিতে চকিতে হৃদয় স্পন্দনে,
নীরব বিস্ময়াবিষ্ট দৃষ্টির, সৃষ্টিশীল বিহ্বলতার সৃজনে
চাক্ষুষ করেছিলাম, সিক্ত সন্ত্রস্ত বিস্মিত তিলোত্তমাকে
জীবনের শ্রেষ্ঠতম মুহূর্তে, থমকে যাওয়া নির্ঝরের মতো।