ক্ষমতার সাথে চাহিদার
ব্যস্তানুপাতিক সম্পর্ক থাকলে,
জীবনের মাঝামাঝি এলেই শুরু গোলমালের।
আবার বয়সের সাথে প্রাচুর্যের
সমানুপাতিক সম্পর্ক হলেই,
জীবনের শেষ নিঃশ্বাসটাও মনে হবে সুগন্ধী।
পারিপার্শ্বিক পরিস্থিতির উপর নির্ভরশীল জীবন
কখনও ছোটে দ্রুত, কখনও ঢিমেতালে,
কখনও ঊর্ধ্বগামী, আবার কখনও নিম্নগামী।
কেউ তিলে তিলে গড়ে ইমারত,
কেউ ধ্বংস করেই পায় পরিতৃপ্তির আস্বাদ,
আবার কেউ জালে বন্দি হয়ে, পর্যবসিত বাকশুণ্যতায়।
গর্ব করে বলা হয়, পৃথিবীর শ্রেষ্ঠতম প্রাণী মানুষ,
অথচ সেই মনুষ্য জীবনেই অজস্র প্রতিকূলতা,
অন্তহীন চাহিদায় প্রকটিত জিঘাংসা, স্বার্থপরতা।
নিজেদেরই সৃষ্ট বিধিনিষেধ এবং লালসার বেড়াজালে
শৃঙ্খলাবদ্ধ হাঁসফাঁস করা প্রাণ, ঈশ্বরে বিশ্বাসী হয়ে,
পরজন্মে শঙ্খচিলের স্বাধীনতা, প্রার্থনা করতে থাকে।
তবুও শিক্ষা, কৃষ্টি, সহবৎ, মানবিকতা, সহমর্মিতা,
অনুসন্ধিৎসা, চিকিৎসা ইত্যাদির মতো মহান সঙ্কল্প,
নিরন্তর নিয়োজিত, মানবিক জীবনের উন্নতি সাধনে।
প্রাকৃতিক এবং মানব সম্পদের সুষ্ঠু বন্টনে, সংরক্ষণে,
এবং গবেষণালব্ধ প্রণালীগুলির যথাযথ রূপায়ণে,
মানুষ হতেই পারে বিশ্বের শ্রেষ্ঠতম গ্রহের, শ্রেষ্ঠতম জীব।
আমি হাজার হাজার বছর বাঁচতে চাই,
ব্রহ্মাণ্ডের শ্রেষ্ঠতম জীবনকে দেখে ধন্য হবার জন্য।