লিখতে যদি পারি কোনদিন
একান্ত নিজস্ব এক ছন্দ,
যা উড়ে যাবে অনায়াসে, নায়াগ্রার রংধনু ছিঁড়ে
ঘুমন্ত দৈত্য আগ্নেয়গিরি ভিসুভিয়াসে।
অথবা পিরামিড প্রদক্ষিণ করে মাঝ রাতে,
দূর সাহারায় হারিয়েই যেতে পারে
উতপ্ত বালুঝড়ের দিশায়,
কোনও এক নির্জন শান্ত মরুদ্যানে।
শৌখিন কবিদের মনে, কত না স্বপ্ন আঁকা থাকে,
বসন্ত বেহাগ সুরে সুরে, নিশিতরঙ্গ কামনায় দোলে,
ক্ষতি কি অভিমানী হলে,
কোনও ভরা কোটালের পূর্ণ চন্দ্রিমাতে?
সেও তো ছিলই জীবনে, পুরাতন আকাঙ্ক্ষার নীড়ে,
রোমিওরা আজও সলমান, জুলিয়েট আপন মাধুরীতে,
তারারা যখন খসে পড়ে,
নিয়ে যায় আপনার দেশে, অভাগার সংসার ভাঙে।
অজান্তেই কিছু কিছু লেখা,
হীরে মণি মানিক্য খচিত, অনামীর সিন্দুক ভরা,
তাও তারা দেখে কি অতীত
কত প্রেম যমুনার জলে?
নীল নদের তীর ধরে ধরে, দু পাশের সবুজ জীবনে,
কবি যদি মানস নয়নে, অতীতের কান্না তুলে আনে,
সেই সব সালংকারা ষোড়শী যুবতিরা,
মূর্ত যদি হয় অববাহিকায়, ক্ষতি কিছু হবে কি কারুর?
[এই আসরে আমার পরম শ্রদ্ধেয় কবি, শ্রীযুক্ত প্রণব মজুমদারের এর ২২/০৫/২০২৩ এ লেখা কবিতা "সমাধান" কবিতাটি পাঠে উদ্বুদ্ধ হয়ে, এই কবিতাটি লেখা।
তাই এই কবিতাটি, শ্রদ্ধেয় কবি, শ্রীযুক্ত প্রণব মজুমদারকে উৎসর্গ করলাম।]