এক মুঠো জুঁইফুল, ছড়িয়ে দিলাম
উঁচু পাহাড়ের চূড়া থেকে,
হঠাৎ একটা ঝোড়ো হাওয়ায়
সেগুলি ভেসে চলল সুগন্ধ ছড়িয়ে,
নদ, নদী, শষ্যক্ষেত্র, ধু ধু প্রান্তর পেরিয়ে
জনপদের প্রতিটি গৃহ স্পর্শ করে....
সুগন্ধি ঘ্রাণে জাগ্রত শারীরিক কামনা বাসনারা
সুপ্ত দরজা খুলে বেরিয়ে এল।
আজ রাতের চাঁদটা একটু বেশীই ঝকঝকে,
কোথায় যেন দ্রিম দ্রিম সুরের মায়াজাল,
আবেশ ছড়িয়ে যাচ্ছে শিরায় উপশিরায়।
কোনও এক অদৃশ্য আকর্ষণে
স্বপ্ন ভঙ্গ হওয়া নির্ঝর ছুটে চলল আপনবেগে।
মোহময়ী প্রকৃতির নিরন্তর কর্তব্যপালনে
নৃত্যরত নটরাজের নৃত্যের তালে তালে,
আনন্দ উল্লাসের নান্দনিক সমারোহ বৃক্ষ সমূহে।
ভগ্ন প্রাসাদের উন্মুক্ত বাগিচায়,
নির্ভীক দুই রাজগোখরো
নিজেদের তৃপ্তির, সৃষ্টিসুখের উল্লাসে রত।
রজনীর কুহকিনীরা সর্বোচ্চ আকাঙ্ক্ষায়
অতৃপ্ত বাসনার মুহুর্মুহুঃ ছোবলে শঙ্কিত,
অপ্সরীরা নৃত্যরতা, কোনও তপস্বীর ধ্যানভঙ্গের ব্রতে।
মৃদু সমীরণে সেই জুঁইফুলের সুগন্ধে,
অন্তরাত্মা শিহরিত হতে লাগল প্রতিটি পলকে.........।