এখন রাত নিঝুম, তারারা জেগে আছে,
জ্যোৎস্নাপর্দাটা ওদের ঢাকতে চাইছে,
আমার দৃষ্টিকৃপাণ কি পারবে ছিন্নভিন্ন করতে?
অন্তরের রাতজাগা কঙ্কালের মটমট শব্দ,
আর কিছু ঝিঁঝিঁ পোকার ডাকে বিরক্ত নিঃশব্দ।
শ্মশানে চুল্লির ধোঁয়ায়, ছড়াচ্ছে শবপোড়া গন্ধ,
তার দেনা পাওনার হিসেব কষা, হয়ে গেছে বন্ধ।
মাঝরাতের রেলগাড়ির চাকায়, সৃষ্টির স্ফুলিঙ্গ
ঠিকরে উঠে ভাঙতে চাইছে, নীরবতার অসীম দম্ভ,
তারপরেও আবার সেই হাহাকারেই, বিধ্বস্ত মনুষ্যত্ব।
পদদলিত পাপড়ির আর্তনাদে কলঙ্কিত অন্তরাত্মা,
থাকে কিছু রক্তলোলুপ হায়নার অতি সক্রিয়তা,
কালিমালিপ্ত সমাজকাঠামোয়, স্ফীত হওয়া অব্যবস্থা।
অনবরত মনের মলিনতার বাগানে বিচরণ করে
শতাব্দী পেরিয়ে যায়, জাগ্রত হয় না মানবিক চেতনা।