অনেক কবিতা তুমি লিখেছো কবি,
কোনওদিন এঁকেছ কি কবিতায়
হতাশার যন্ত্রণার পাংশুটে ছবি?
জনতার মাঝে, মাথা নত করে লাঞ্ছিত হলো,
যে সৌম্য শান্ত যুবকটি মিছিমিছি,
তার সেই অশ্রুসিক্ত চোখে কতটা অসহায়তা,
নির্ভীক সততার সাথে সেই ব্যথা,
কোনওদিন করেছো কি উপলব্ধি?
সন্তানের মৃতদেহ পরহিতার্থে উৎসর্গ করেছেন যারা,
সেইসব চিরস্মরণীয় অভিভাবকদের কথা
সৃজন করেছ কি কোনওদিন
তোমার সহজাত সাবলীল কবিতার ভাষায়?
লেখনি তো কোনওদিন যুদ্ধের ধ্বংসাবশেষ,
যারা বেঁচে থাকে তারপরও স্বজন বিরহে,
অথবা অর্ধমৃত, কিংবা বোধহীনতার শুন্য দৃষ্টিতে,
তাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে সৃষ্টিশীল চিন্তা কিছু কিছু?
যদি এতদিন বিচরণ করে থাকো, জলে, জঙ্গলে,
পাহাড়ে, পর্বতে, সাগরের নির্জন বালুচরে,
প্রেম, প্রীতি, বিরহের, সান্নিধ্যের নিয়ে আস্বাদন,
কবিতা লিখেছ যদি সারারাত জেগে,
এখন হয়েছে সময়, মস্তিষ্কের স্নায়ুতন্ত্রে হোক উজ্জীবন।
সেই সব দুর্ভাগারা, অবিরত ক্রান্তিকর যাদের প্রতিদিন,
আশঙ্কার অমানিশায়, যারা ভুলে গেছে সূর্যমুখী দিন
তাদের জন্যও কিছু লেখ, কবিতায় করো আলিঙ্গন।