কালিগঞ্জ-টঙ্গী,
অভ্র ফ্রন্টে মেসেজ
অতঃপর সঙ্গী!
গানের সুরে,
কাব্য-কথনে তুমি
সোনালী ভোরে।
ধরেছি হাত,
আমার দিনে তুমি
নিকষ রাত।
ভেজাবো নীলে,
প্রেম-সাঁতারে এসো
পদ্মের ঝিলে।
রবি সদনে,
কাব্য-গানে হারিয়ে
যাবো দু'জনে।
একটি পদ্ম,
পাঁপড়িতেই আঁকা
না বলা গদ্য।
বই ও পাতা,
জীবন গল্পে গাঁথা
একটি ছাতা।
আকাশে ঘুড়ি,
মেঠো পথে দৌঁড়ায়
সাঁতাল ছুড়ি।
মাধবী কয়,
চল্লিশের পর কি
আশংকা-ভয়?
ঘঠনা ঘটে,
বালিকাটি মা হয়
ছেলেটা ফুটে!
বই মেলায়,
পাঠক নাই তাই
মাছি জ্বালায়!
একি কবিতা?
নাই মাত্রায় ছন্দ
বলে সবিতা।
মেরীল্যান্ডে বর,
মা বলেন মেয়েকে
ঝাপটে ধর।
আজব মাল!
পেটে ঢুকে আহারে
অশ্রাব্য গাল!
সুন্দর বনে,
কাকঁডার আশায়
সুন্দরী কনে!
সিদুঁর প'ড়ে,
বুঝেছিল ললিতা
অভাবী ঘরে।
মোস্তাক-তিশা,
একটি রাবার তো
অন্যটা সীসা!
সংসারে জল,
মাঝ পথে নোনতা
রিয়েক্ট 'লল'!
কবি ও গান,
একত্রে রোজ খায়
সুপারী-পান।
মিলিতা কয়,
'ভাণ্ডারী গান গেয়ে
করেছি জয়।'
বুড়ার প্রেমে,
অচল যন্ত্র চলে
সংসার ফ্রেমে।
কবীর ঢালি,
বই-লেখা-বাগানে
একাই মালি।
মেলায় বই,
হাজার দর্শনার্থী
পাঠক কই?
মিজান-খুকি,
জল রঙ্গে ছবিটা
আনন্দে আকিঁ।
বেদের মেয়ে,
জীবন নৌকা চলে
বৈঠা'ই বেয়ে।
কবি দন্ত্যস,
অনুকাব্য সৃষ্টি
তার নিজস্ব।
নিকষ রাত,
মাদকে কাটে ক্ষণ
কে নিচু জাত!
অচিন পাখি,
সুদের টাকা নিতে
এসেছে কাকি।
এ, চড়াখোলা,
দক্ষিণে যতুর মা
উত্তরে ভোলা।
বোর্ণীর মেয়ে,
বড়ালে দিলে ডুব
না ক'রে বিয়ে!
প্রেমের রঙ,
দুপুরে চকচক
বিকেলে জঙ!
বাম্বিনা গেটে,
রোদ-ঝড় বৃষ্টিতে
গিয়েছি হেঁটে।
সেই ফাল্গুন!
বরফে চোখ-মুখ
বুকে আগুন!
ডেরিক পল,
অবশেষে খেয়েছে
ঘোলাটে জল!
কবি ভিক্টর,
এখনো কবিতায়
বৈশাখী ঝড়।
আতেঁল জনি,
ভাবে রাজা নিজেকে
কখনো রাণী!
রমনা পার্ক,
বাদাম কিনে ছিলি
আমি কি ক্লার্ক?
আচঁল পাড়ে,
লাজে মুখ লুকায়
লিসির স্যারে!
সে সরকার,
হৃদ রোগ সাড়াতে
তো দরকার।
গারো পাহাড়ে,
সুসাং নদ ঝর্ণায়
খুঁজেছি তারে!
বন্ধু তুঘ্রিল,
বইমেলা প্রাসাদে
সোনালী ঝিল।
তারার আলো,
নিবু নিবু আঁধারে
ঘটে কি গেলো!
চিলে কোঠায়,
ব্যাচেলর অগ্যতা
পেয়েছে ঠাই।
মাথার চুলে,
ঊইগে দিও না হাত
কখনো ভুলে।
ভাইরাল দা,
থামাও অত্যাচার
ধরি তব পা।
পাঠক নাই,
বোদ্ধা লেখক বলে,
'জ্বি-গুডবাই।'
উঠেছে ঝড়,
নীলাভ শাড়ী বলে
আমাকে ধর।
বুকের ব্যাথা!
জড়িয়ে রেখো অঙ্গে
প্রেমের কাঁথা।
সুগার ড্যাডি,
কচি নয়, মানাবে
বুইড়া বেডি!
সত্তোর চলে,
তরুণরা দে ডুব
হতাশা জলে!
জায়েদ খান,
ব্যাচেলর যুবা'র
রেখো সম্মান!
সান্তাল ছেড়ি,
ভালোবেসে ফ্রি দেয়
ঝাঁঝালো তাড়ি!
কবি পলাশ,
হৃদয়ে মরুভুমি
হাতে গেলাস!
কোথায় স্বর্গ?
গান-কাব্য রাঙাতে
যে দিবে অর্ঘ্য !
তাসের ঘর,
মধুর আলিঙ্গনে
ভীষণ ঝড়!
সানি লিওন,
লজ্জায় দাদু বলে
ছিঃছিঃ! কি কন?
চলন বিলে,
ফাল্গুনের হলুদে
দু'জনে মিলে।
সিনেমা শেষ,
পপকর্ণ-বাদামে
ফুরালো ক্যাশ!
খাচ্ছেন ঘুষ!
একদিন নরকে
করবে পুশ।
কাটার বেড়া,
পাড় হতে স্বজনে
গিয়েছে মারা।
গরীব মরে,
না খেয়ে রোদে পুড়ে
অভাবী জ্বরে।
নৌকার মাঝি,
বর সেজে অপেক্ষা
এসেছে কাজী।
ছন্দ্রিমা মাঠে,
দৌড়-ঝাপ, আড্ডায়
সময় কাটে।
ললিতার মা,
মাস্তান পোলা কয়,
বিয়ে দিবে না?
'ফুঁ'এর খেলা,
ঘর ছাড়ে মেয়েটা
ল্যাও গো ঠ্যালা!
গলায় দড়ি,
হে পৃথিবী বিদায়ে
বলছি সরি।
আট নং বাসে,
সুন্দরী মেয়ে পেয়ে
ছেলেটি কাশে।
রীটার বাপে,
যৌতুকের ডিমান্ডে
ঐ দেখ কাঁপে!
মেয়েটা মুন্ডা,
বলিনি ভালবাসি
ভাইটা গুন্ডা!
ফসকে গেলি,
তাতে কি! গানে গানে
এসেছে মিলি।
বস্তির ছেলে,
অকারণে পুলিশ
পাঠায় জেলে!
যৌতুক নয়,
মেয়ে বিয়ের কালে
পিতারা কয়।
ছেলের বিয়ে,
মুচকি হাসি দেয়,
যৌতুক চেয়ে!
আন্তনী মিশা,
কনে দেখতে পাত্র
মা-পিসি-পিসা।
জীবনে ক্ষত,
ঘুরে-ফিরে আঘাত
আসিবে কত।
আয়না দেখে,
দুর্বলতা ঘুচাতে
গুণীন শিখে।
পিংকির বর,
অঢেল ঘুষ খায়
দেয় না কর!
পাত্রের খোঁজে,
পার্লারে ম্যাক-আপ
ছেলেরা বুঝে!
পাহাড়ী কন্যা,
নাখাম খাওয়াবে
করেছে রান্না।
বিমান বালা,
সাজ-পোষাকে তন্নী
আসলে খালা।
ছাদনা তলা,
না বুঝে গিয়েছিল
বোর্ণীর ভোলা।
বোর্ণীতে মন,
ঢাকায় চেপে রাখি
কীভাবে কন?
দেবর-ভাবি,
নকল বানিয়েছে
গেটের চাবি।
পদ্মার ব্রীজে,
টিকটকার জন্তু
বৃষ্টিতে ভিজে।
দিওনা মন,
ও তোমার আপন
খালাতো বোন।
বাতের ব্যাথা,
বউ টিপে ডান পা
শ্যালিকা মাথা।
'বন্দিনী' বই!
করোনার সঠিক
রিপোর্টা কই?
তিশার বাবা,
লজ্জায়-অপমানে
স্তব্ধ ও বোবা।
কলের গানে,
নির্মলা-মানবেন্দ্র
হৃদয়-প্রাণে।
রোলেক্স ঘড়ি,
খানকে দিয়েছেন
জাপানী হরি।
ফুলওয়ালী,
মালি সাজিয়ে মোরে
কেন ঘোরালি?
পুজোর দিনে,
উত্পলকে ধরেছে
শিউলী জ্বীনে।
রাতে আইসো,
সজাক না হইলে
জোড়ে কাইশো।
ছাদের লুঙ্গি,
চিৎকার করে কয়,
'কে হবে সঙ্গী?'
খবর সত্য,
আধাঁরে পরকীয়া
বহু আসক্ত!
শাড়িটা লাল,
ভিতরে ঢুকে আছে
হৃদিকা পাল।
জেলখানায়,
তিন বেলা বার্বুচি
লাবড়া পাকায়।