খুঁজি সেই ঠোঁট
যৌবন তার উরুতে ভ্রু তে কোমরের ভাঁজে
তার বুকের বোঁটা আমার ফাগুন কেড়েছে ।
সে কবেই চলে গেছে
তাকে দেখি বজ্রমেঘে,
হেসে যায় আকাশের বুক চিরে ।
সে আসে প্রলয় ঝড়ে
কন্যাকুমারী,উড়িষা হয়ে বাংলায় পদ চিহ্ন রাখে চট্টোগ্রাম উড়ে যায়,
তার একটি দীর্ঘশ্বাসে।
কখনও শুনেছি মাঝরাতে
প্রচন্ড গতিতে ধেয়ে আসা সুনামির গর্জনের মত
তার পা র নুপূর ছন্দ।
তার হাসি শুনেছি
রাজ রাজড়ার যুদ্ধ জয় করার উল্লাসে,
রাজনৈতিক যুদ্ধে কোল হারানো মায়ের আর্তনাদে ।
আমি তাকে খুঁজি
অতিতের ভাঙ্গা চোরা ধ্বংস স্তূপে।
দেখি যতদূর চোখ যায় !
মরিচিকার মত রি রি করে তার প্রতিচ্ছবি ,
বিদীর্ন মাঠের উত্তপ্ত বাষ্পের মাঝে ।
আমি ছুটে যাই পড়ে ছিঁড়ে রক্তাক্ত দেহে
কেউ ত নাই !
ঠিকততটাই দূরে ভাসে আবার তার প্রতিচ্ছবি ।
আমি আজও ছুটি অবস পায়ে সারা বিশ্ব ভ্রমি ।
আমি ক্লান্ত চিরজন্মের মত
বিশ্রাম নেব এবার প্রিয়ার কোলে।
হঠাৎ পায়ের তলায় তাকিয়ে দেখি !
আমি ট্রাম লাইনের উপর, পেছনে ট্রাম।
তাহলে কি আমি জীবনানন্দ হয়ে গেলাম ।।