বাবা-মার কাছে সন্তান যেন সাত রাজার ধন
তাকে নিয়ে বাবা-মায়ের কত স্বপ্ন! সেই স্বপ্নরাশিকে—
বাস্তবে রূপ দিতে, তিলতিল করে সযতনে বড় করে তুলে
তারপর তাকে পাঠায় স্কুল-কলে-বিশ্ববিদ্যালয়ে।
বাবা-মার বুকে বড় আশা— চোখে স্বপ্নের বুনিয়াদ;
দিগ্বিজয়ী পাঠ শেষ করে ঘরে ফিরবে তাদের সন্তান।
বেশ চলছিল সেই প্রস্তুতিপর্বটা— মাঝপথে অযাচিত হাতছানি;
জ্ঞানার্জনের পাশাপাশি রাষ্ট্রযন্ত্র পরিচালনার মহান চর্চা!
সঙ্গে আছে আরো বাড়তি পাওনা— অর্থ-যশের ঝনঝনানি।
রথদর্শনের সঙ্গে যদি কলা বিক্রির ফায়দাটাও পাওয়া যায়
তবে সেই সুবর্ণ সুযোগ হাতছাড়া করতে চায় কে বলো?
তাই ওরা প্রবল উৎসাহে নতুন জগতে মিশে যেতে থাকে।
পদক্ষেপ যত বাড়ে, পথের পরিধি তত বাড়তে থাকে
জগতের এই বিধান— বেড়ে চলে ওদেরও দুর্মোহ আকাঙ্ক্ষা,
বেড়ে চলে অর্থ-যশ আর অধিকারের কাঙ্ক্ষিত পরিধি।
সোজা আঙুলে ঘি ওঠে না বলে মোক্ষলাভের বিষয়টি
সোজা পথের প্রতি চিরকাল বিমুখ হয়ে থাকে।
তাই স্বপ্নবুননের জাদুকর ছেলেদের হাতে অস্ত্র ওঠে—
অধিকার আদায় করতে হবে তো!
অস্ত্র নিয়ে খেলা যার জীবনের ব্রত;
অস্ত্র হয় তার ভাবীকালের বুকের নিশানা।
এই প্রবাদের অভিশাপ লেগে একদিন স্বপ্নের গাড়ি থামে
বাবা-মায়ের চোখের নোনা জলের ফোঁটা বেয়ে
লালিত স্বপ্নগুলো অবিরল ধারায় ঝরে পড়ে।