রোগাক্রান্ত অসহায় পশুর বিবর্ণ ইচ্ছার মতো
হারিয়ে ফেলেছো মনের যৌবন।
অচেনা পুরুষের হাত ধরে ঘর বাঁধার উচ্ছল আবেগে
বসেছ সুদৃশ্য প্রাসাদে, তুমি চপল চারিণী।
তোমার চপল মনের গতি বড়ই দুর্বোধ্য ছিল
তবু এটুকু বুঝেছি, তোমার ভালবাসা ছিল
কেবলি নিরেট অভিনয়।

তোমার সকাশ বিমুখতা আজ আর আমাকে
তেমন পীড়া দেয় না; পীড়া দেয় কেবল—
তোমার চপল মনের পায়ে বেড়ি পড়ার
অদ্ভূত ঘটনাটি। আমার ভাবনা ছিল,
চপল হরিণী চিরদিন ঘাস খেয়ে বেড়াবে
আমারি মনের মুক্ত নিকুঞ্জে ঘুরে ঘুরে,
ত্রস্তপায়ে সে এড়িয়ে যাবে সোনার খাঁচার দ্বার।
আকাশ ছুঁয়েছিল এই আশার ধ্বনিরা আমার,
ভেজানো ছিল আকাশের দ্বার;
তবু সে আজ কঠোর বাস্তবতায় চিররুদ্ধ!
বাস্তবতার এই রূঢ়তায় বন্দী তুমি আজ,
সোনার খাঁচায় বন্দী তুমি চপল চারিণী।