‘কী সুন্দর চটপটে এক মেধাবী কিশোর;
অন্ধের মতো টাকার পেছনে ছুটা বাবা-মার সন্তান।
দেখতে দেখতে কিছুদিনের মধ্যে কিশোরটির অঙ্গ
গৌরবর্ণ থেকে ফ্যাকাশে ম্লান হয়ে গেল।
শুকনো দেহ, রসালো হাত-পা, ঘুমকাতুরে চোখ;
বাবা-মার যখন ছেলের উপর নজড় পড়ল—
তখন সময় একেবারে শেষ— ফেরাবার পথ নেই!
অবশেষে একদিন সবাইকে কাঁদিয়ে অকালে অক্কা!
এ কোনো গল্পকারের লেখা গল্পের কাহিনী নয়,
নিজ চোখে দেখা একটি সম্ভাবনার মহাপতন।
মরণঘাতী হেরোইনের বিষাক্ত ছোবলে অহরহই হচ্ছে
এমন সম্ভাবনার অপমৃত্যু। যে বৃক্ষটি ভবিতব্য কালে
ফলভারী হয়ে অজস্র সুমিষ্ট ফল দিতে পারত;
দিতে পারত শীতল ছায়া— অথচ তাকে সমূলে
ধ্বংস করার নীল-নকশা অঙ্কিত করে চলেছে
একদল মানুষ, ছড়িয়ে দিচ্ছে ধ্বংসের বিষাক্ত বীজ।
মরণনেশার এই বিষাক্ত বীজ একদিন অঙ্কুরিত হবে;
ফলবান বৃক্ষ হয়ে সন্দেহাতীতভাবে ঘটাবে বনায়ন।