কত খেলোয়াড়কে দেখেছি খেলোয়াড়ি জীবনের তিক্ততা নিয়ে অবসরে যেতে। আমি মাঠের খেলোয়াড় নই। কাগজে-কলমে ভাষার গাঁথুনি দিয়ে চিত্রকল্প ফুটিয়ে তোলার ছেলেখেলা আমার কর্ম। মাঠের খেলোয়াড়ের মত কবি-সাহিত্যিকরা কি কখনো অবসরে যান? তেমন নজির কেউ না দেখলেও সবাইকে অবাক করে দিয়ে আমার এখন সেটাই করার সময়। লেখালেখির খেলার বয়স তো কম হলো না। এই খেলার খেলোয়াড়ি জীবন আমার এখনো গোলশূন্য।
বড় বড় লেখকদের ভিড়ে যে লেখকের লেখা স্থান পায় না কোন পত্রিকার পাতায় কিংবা দৃষ্টি কাড়তে পারে না কোন গ্রন্থ প্রকাশকের- মান রক্ষার্থে তার তো অবসরে যাওয়াই উচিত।
লেখালেখি করলেই লেখক, কবিতা লিখলেই কবি- এ উক্তিকে বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করে ঝরে গেছে বহু কবিতা রচনাকারী, বহু লেখন পটিয়সী। আমিও বুঝি সেই দলেরই একজন দীর্ঘদিনের পণ্ডশ্রম শেষে হারিয়ে যাওয়ার অপেক্ষায় অপেক্ষমান। হারিয়ে যাওয়ার চেয়ে অবসরে যাওয়া ঢের ভাল। তাই অবসরই আমার জন্য মঙ্গলময়।