নির্জনে বসে বসে ভাললাগে ভাবিতে
ভাললাগে লিখে দিতে বিষন্ন কবিতে।
পাশে রবে ধান ক্ষেত আর ছোট সরোবর
তারি থেকে মৃদু বায় ঘুরে ফিরে ঘোরতর
দানিবে পরশ আমায় শীতল অঙ্গ দিয়া
রহিব একিলা আমি হর্ষামৃত নিয়া।
রহিবে খয়েরি শালিক মিলন খেলায়,
দেখিয়া মিথুন তাদের চিত্তখানি হায়—
উঠিবে কম্প ধরি স্মতি জাগি মনে,
ক্ষোভ জাগি নির্জনতা ঘুচিবে সেই ক্ষণে।
দেখিব পাশেতে আমি ভাবনা আঁখি দিয়া
সুদূর আকাশ থেকে নীল শাড়ি নিয়া
বসে এক মহিয়সী, অধরেতে হাসি
যাহারে দিয়াছি আমি প্রেম রাশি রাশি।
কিযে স্বপ্ন নির্জনতা নিয়ে আসে মনে
ব্যথার সাগর হতে মৃদু সমীরণে,
পুরনো স্মৃতিরে আনি সম্মুখ সমরে
বিষমাখা শেল সম বুকে আনি ছুঁড়ে।
সে বিরহ ব্যথা থেকে জুড়াতে এ বুক
রাখিব নিবিষ্ট মনে সরোবরে চোখ।
সেই ক্ষণে সরোবরের বদ্ধ জলরাশি
ভ্রূকূটি করিবে আমায় হেসে নিরব হাসি।
বসিব তখন আমি কাগজ কলম নিয়া
লিখে যাব শোকগাঁথা গভীর দরদ দিয়া।