(জীবনানন্দের বনলতা সেন এর অনুকরণে)

আমি এক নিঃসঙ্গ কবি, চলেছি জীবনসঙ্গী হীন
অজীবন কিবা এক তৃষা নিয়ে বুকে;
শহরের আঁকা-বাঁকা পথ থেকে পথহীন
জনবিরলে ঘুরেছি; না পাওয়ার বেদনাটা যদি যায় চুকে
শুধু দেখেছি যে একটি ছবি যতদূর চোখ যায়—
এ চোখে যে দিয়েছে তৃষা মানিকগঞ্জের মধুমিতা রায়।

সন্ধ্যার ছায়ার মতন কোমল ছোঁয়া যার
পেয়েছি অনেক বছর ধরে, হারিয়ে যে তন্ত্রা আজি
পথে রাত্রিদিন ঘুরে মরি। পাবো কি খুঁজে আর
তারে কোন দিন? যে সুর হায় উঠিল বাজি;
আমারে হারাতে পথে হৃদয়ের কানায় কানায়—
দিয়েছিল এ সুরধ্বনি মানিকগঞ্জের মধুমিতা রায়।

সুরের ভুবনে তার ছিল চির-অধিকার,
কতদিন আমায় সে শুনিয়েছে বিরহের গান।
কে জানিত এমনি তান লাগবে যে তার?
জীবন ভরে শুধু তাই কেঁদে যায় আমারি এ প্রাণ;
সেই বিরহ ধরে; মর্মস্পর্শী শোকের ছোঁয়ায়—
শোক নয়, শান্তি তবু; যদি ভাবি মানিকগঞ্জের মধুমিতা রায়।