হে মাপদার, তোমার মাপের পাল্লা
আমার জন্যে আজ কিছুই মাপেনি।
তোমার বরাদ্দের অভাবে সারাদিন
তাই উপোস কাটাতে হল আমাকে।

উপোস যাপন আমার কাছে নতুন কিছু নয়,
অতি চেনা-জানা, বহু পরিচিত বিষয় সে।
এই বিষয়-বিচ্ছিন্ন দলহারা ব্যক্তি আমি নই,
ক্রমবর্ধমান এই দলের কত মানুষকে দেখেছি;
তোমার বরাদ্দ-বঞ্চিত হয়ে একবেলা-দুবেলা
কিংবা সারাদিন অহরহ উপোস করে কাটাতে।
আমার বুভুক্ষ চোখে দেখা ভাগ্যবঞ্চিতের মতোই
বিশ্বজুড়ে গরিব-দুখীর চিরায়ত নিয়তি!

অথচ অর্থলোভী ধনীরা; যারা গৌরবান্বিত হয়
দুবেলা উচ্ছিষ্ট খাবার ডাস্টবিনে ছুঁড়ে ফেলে।
খাবারের অপচয় না করলে যাদের সম্ভ্রম—
মুহূর্তে মুছে যায় মহত্ব বিচারের খাতা থেকে,
তাদের সম্ভ্রম রক্ষার্থে তোমার বরাদ্দের পাল্লা
চিরদিন ঝুলে থাকে ঠিক তাদেরই দিকে!

তুমি কি জানো মাপদার, গণতন্ত্রের বাতাস আজ
কালবোশেখীর ঝড়কে হার মানায়? তারই তোড়ে
পুরনো সব তন্ত্র আজ নির্বাসনের আয়োজনে ব্যস্ত।
এই জোড় বাতাসে পাল উড়ানো ভূখা, অর্ধভূখা—
মানুষের হিসেব কি তোমার জানা আছে মাপদার?
বরাদ্দবঞ্চিত এই বিশাল বহর ক্ষুব্ধ হলে—
যে কোনো আসন টলিয়ে দিতে পারে নিঃসন্দেহে!