দীর্ঘ তপস্যার পুণ্যাগুনে পুড়ে,
দস্যু রত্নাকর হয়ে উঠলেন মুনি।
তেমনি আমি নিজেও কেমন করে,
অপেক্ষার এক দীর্ঘ প্রহর গুণি—
দিনে দিনে হয়ে উঠেছি কবি;
হৃদয় খাঁচায় আঁকড়ে ধরে একটি মুখচ্ছবি।
কথা ছিল সে আর আমি মিলে,
প্রেমের সুতোয় বাঁধব সুখের ঘর।
আজকাল সে বেড়ায় হেসে খেলে
যেন আমি তাহার কত পর।
এখন সে হায় এই জীবনের ডুবে যাওয়া রবি;
তবু যতন করে রাখছি বুকে তাহার মুখচ্ছবি।
হঠাৎ তাহার কি যে খেয়াল হল,
ভর সন্ধ্যায় একদিন সে এল আমার ঘরে;
আত্মোল্লাসে ভাবি আমি সুদিন বুঝি এল।
খেয়ালবসেই চাইলে সে কুশল জানিবারে,
এগিয়ে দিলেম ডাইরিখানা ছন্দে আঁকা ছবি;
যাহার মাঝে আছে আঁকা তারই মুখচ্ছবি।
প্রথম থেকে শেষ অব্দি সে পড়লে ডায়রিখানা
পড়া শেষে বললে, লিখে ভরো খাতাটারে;
তখন না হয় কবিতার বই বের করো একখানা
পড়ব কিনে সে বই তোমার সময় হলে পরে।
বললে শেষে শান্ত স্বরে, অতীত ভুল কবি!
বললেম আমি, বাধা কেবল একটি মুখচ্ছবি।