পুড়ে পুড়ে সোনা হয় খাঁটি
পুড়েই শক্ত হয় নরম মাটি,
জ্বলছে জীবন অহর্নিশি
জ্বলুক আরও যত খুশি,
জ্বলে-পুড়েই জীবন তবে-
হোক না পরিপাটি।
তপস্যার পুণ্যাগুনে জ্বলে
রত্নাকরের পাপরাশি গলে;
হলেন তিনি মহামুনি বর,
জ্বলে-পুড়েই হয়ে গুণধর-
সুখের প্রদীপ জ্বালিয়ে দিব
দুঃখের ধরাতলে।
দুঃখগুলো আসে ঘুরে-ফিরে
সুখময় জীবনখানি জুড়ে
জগতে তার এমনি খেলা
ভাসিয়ে দিয়ে দুখের ভেলা,
দুঃখের শাসন পায়ে দলে
হাঁটব সুখের তীরে।
দুঃখ যদি জীবনে না রয়,
সুখরাশি সুখ সেতো নয়।
দুঃখের দহন সহ্য করে
মানুষ সুখের ভিত্তি গড়ে
দুখ-দহনের মাঝেই জীবন
করব সুখময়।