পৃথিবীটা দিনে দিনে পুরোপুরি ধর্মান্ধ হয়ে উঠেছে,
অন্ধ ধর্মবোধের অতি ভারে পৃথিবী আজ ভারাক্রান্ত।
ধার্মিকবেশী মানুষগুলো এখন গোড়া ধার্মিক, ধর্মান্ধ।
এদের পাশে অন্য ধর্মের মানুষেরা আজ নিরাপদ নয়,
এই অনিরাপদ মানুষগুলো যদি সংখ্যালঘু হয়ে থাকে
তবে তো কথাই নেই, নিশ্চিত তাদের ভাগ্যে আছে-
অমানবিক অত্যাচার, নয়তো বা নির্মম মৃত্যুর স্বাদ।
ধর্মান্ধের পৃথিবীতে এখন প্রকৃত ধার্মিকের ঠাঁই নেই,
ধর্মের প্রতি অন্ধবিশ্বাসী গোড়া ধার্মিকদের মন জুড়ে-
নিজের ধর্মকে সেরার আসনে বসাতে বিশ্বের সকলকে
নিজেদের ধর্মানুসারী করার পাঁয়তারা দানা বেঁধে উঠেছে।
ধর্মের নামে এই পৈশাচিকতা কোন ধর্ম অনুমোদন করে?
এরা কখনো কি ক্ষমা পাবে একালে কিংবা পরকালে?
এর উত্তর এসব ধার্মিক নয়, দিতে পারে মানবিক মানুষ।

ধর্মের সাথে মিশে গেছে রাজনীতি, মিশে গেছে ব্যবসাও
তাই তো ধর্মের এই অবক্ষয়। হিংসাত্মক রাজনীতির চেয়েও
নিকৃষ্টতর স্থানে এসে দাঁড়িয়েছে বর্তমান মানুষের ধর্মবোধ।
সেবার আদর্শ লাপাত্তা হওয়া রাজনীতির মাঠের মতোই
ধর্ম আজ আদর্শচ্যুত। রাজনীতির মাঠের বর্তমান আদর্শ
বিরোধী পক্ষকে পরাভূত করার আগ্রাসী কৌশল অবলম্বন।
ধর্মের মাঠের ওই কৌশলটা আরও জোড়ালো, আরও ভয়াবহ
তাই ধর্ম আজ মানুষের মঙ্গল করার ক্ষেত্রে শক্তিহারা হয়েছে।

গুরু নানক বলেছেন, “মানুষ হও, হিন্দু, মুসলিম, খ্রিস্টান
কিছুই হওয়ার দরকার নেই।” বাস্তবে মনুষ্য ধর্মই শ্রেষ্ঠ।
সে বিবেচনায় ধর্মধারীদের চেয়ে নাস্তিকেরা ঢের ভালো।
এরা হিংসাত্মক নয়, এদের ধ্যান-জ্ঞান শুধু কর্ম, ধর্ম নয়।
এই মানবিক কর্মবীরেরাও শঙ্কামুক্ত নয় ধর্মান্ধদের থেকে।
এদের অপরাধ এরা ধর্ম এবং সৃষ্টিকর্তায় বিশ্বাস করে না,
তাই এদের পৃথিবীতের বেঁচে থাকার কোন অধিকার নেই।
বাঁচার অধিকার শুধু ধর্মান্ধদের, পুরো পৃথিবী এখন ধর্মান্ধ।