ধর্মীয় অনুভূতির ঠুনকো তীক্ষ্ম ধারে—
কেটে খান খান হয়েছে সম্প্রীতির বন্ধন,
এখন তাই বাক স্বাধীনতার বড় অভাব।
আমি নিশ্চুপ! কিছুই বলতে পারি না!
শুধু বিবেকের প্রশ্নবাণে বিদ্ধ হতে থাকি।
অন্তর জুড়ে জমে উঠেছে অনেক কথা;
জগতের মঙ্গলার্থে এসব বলা দরকার,
বলা যাবে না। বললে অশান্তির আগুন
জ্বলে উঠবে আরও দাউ দাউ করে,
এ হচ্ছে বর্তমান সমাজের চেনা চিত্র।
শুধুমাত্র ধর্মীয় কারণে বাংলাদেশ জুড়ে—
ভাঙা হলো হিন্দুদের কত মন্দির, কত মূর্তি,
জ্বালিয়ে দেওয়া হলো কত বাড়িঘর,
হত্যা করা হলো কত নিরীহ মানুষজন;
বছর বছর ধরে চলছে এই ধ্বংসলীলা!
এই নারকীয় চর্চা শুধু বাংলাদেশেই নয়
ছড়িয়ে পড়েছে আজ সমগ্র বিশ্ব জুড়ে,
এই নারকীয়তার হিংস্র থাবায়—
ভারতের বিখ্যাত ঐতিহাসিক স্থাপনা
বাবরি মসজিদটিও ধুলোয় মিশে গেলো।
ধর্ম আজকাল বড় অনুভূতিশীল হয়ে উঠেছে,
এ নিয়ে কোন মন্তব্য করলেই শুরু হয়ে যাবে—
চুলচেরা বিশ্লেষণ, মন্তব্যটিকে ব্যবচ্ছেদ করে
খতিয়ে দেখা হবে তার মধ্যে ধর্মীয় অনুভূতিতে
আঘাত হানার মতো কোনো গন্ধ আছে কিনা,
কিংবা আবিষ্কার করা হবে কোন না কোন গন্ধ
তারপর শুরু হবে ফায়দা লুটার নারকীয় খেলা,
এ হচ্ছে ধর্ম ব্যবসায়ীদের অতি পুণ্যের কর্মকাণ্ড।
দেশে দেশে বিপর্যস্ত সংখ্যালঘু মানুষের চেয়ে
আফগানিস্তানের সংখ্যালঘুরা আরও নাজুক।
তালেবানরা ক্ষমতায় এসেই ঘোষণা দিয়েছে—
ইসলাম গ্রহণ না করলে দেশে থাকা যাবে না।
এই ঔদ্ধত্যের কথাই ধর্মের প্রকৃত অবমাননা,
ধর্মের যেখানে মানুষকে রক্ষা করার কথা;
সেখানে মানুষের ধ্বংসের পথ সৃষ্টির পাঁয়তারা
জগৎ জুড়ে জ্বালিয়ে চলেছে অশান্তিই আগুন।