চিলে রাজার কান নিয়েছে ব্যাপারটি নয় ঘটিতং
দেশজুড়ে এই খবর তবুও হয়ে গেল রটিতং।
নয় সে যেমন-তেমন রাজা— বুদ্ধুচন্দ্র মহারাজ;
তারে নিয়ে গুজব রটান নির্ঘাত সে দোষের কাজ।
রাজা হলেন মান্য সবার তারে নিয়ে হাস্যরস;
রাজদ্রোহী এ গুজবকারী নয় কি তবে রাজার বশ?
গুজব শুনে ক্রুদ্ধ রাজা— অগ্নিসম তাহার বাক,
চিন্তাক্লিষ্ট মন্ত্রিরা সব বিপদ বুঝে নির্বাক।
পাত্র-মিত্র-সভাসদ সবাই ভাবে কার এ কাজ?
রাজার ক্রোধে সবার মাথায় বিনা মেঘে পড়ছে বাজ!
চলছে ভীষণ কানাকানি— হারিয়ে গেছে রাজার কান;
কান হারিয়ে মহারাজার কেমন করে বাঁচে মান?
রাজার কানের ব্যাপার নিয়ে পারিষদ দল ভাবিতং
দেশের মানুষ হাস্যরসে ব্যস্ত যেন দেখতে সঙ।

রাজার গায়ে লাগল যখন তামাশার এই কড়া রঙ;
মনের শোকে মহারাজা হলেন বেজায় চটিতং।
চারিদিকে ছুটল যত শান্ত্রী-সেপাই রাজার লোক;
মহারাজার মহা আদেশ— ‘অপরাধী ধরা হোক’।
পড়ল ধরা কত মানুষ— মূর্খ-চতুর বহু জন;
সকল শ্রেণির লোকের হল কয়েদখানায় নির্বাসন।
লোকারণ্য কয়েদখানা, সাজা নতুন মাত্রা পায়
বড়ই পরিতাপের বিষয় সকল চেষ্টা বৃথা যায়—
খোঁজ মিলে না অপরাধীর হা-হুতাশে পারিষদ;
ধরতে হবে অপরাধী, রাজার আদেশ হয় না রদ।
এগিয়ে এলেন মহারাণী বিপদ যখন চরমে-
রাণী বলেন, ‘কাণ্ড দেখে মরে গেলাম মরমে।
এযে এক মস্ত গুজব, ব্যাপারটি নয় সঠিতং,’
রাণীর কথা শুনে রাজা হয়ে গেলেন হঠিতং।